আদমদীঘিতে মালিকের অনুপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছাগল, জরিমানা না দেয়ায় বিক্রির অভিযোগ Ahsan Habib Ahsan Habib প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২১ আহসান হাবিব শিমুল (আদমদীঘি প্রতিনিধি) বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ পার্কের ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগল মালিকের অনুপস্তিতিতে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিন। এতেও ক্ষান্ত থাকেনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) তিনি অবলা প্রাণী ওই ছাগলকে ৫ দিন আটকে রাখার পর ৪ দিন পূর্বে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকালে হাউ মাউ করে কেঁদে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন ছাগল মালিক সাহারা বেগম। তিনি বলেন, এক বছর আগে ছাগলটি ৫ হাজার টাকায় কিনেছি। বর্তমানে ওই ছাগলটি ৩ মাসের গাভীন। জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলো এলাকার জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাহারা বেগম সংসারের বাড়তি রোজগারের জন্য মুরগী ও ছাগল পালন করেন। ১৭ মে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ঘাস খেতে খেতে এক সময় ফুলগাছ খায়। ঘটনা দেখতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাঁর নিরাপত্তাকর্মীকে দিয়ে আটক করেন। এদিকে ছাগল মালিক সাহারা বেগম ছাগলটি দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজির এক সময় দেখতে পান উপজেলা চত্ত্বরের ভিতর ছাগলকে বেঁধে রেখে ঘাস খাওয়াচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এক নিরাপত্তাকর্মী। এসময় ছাগলের মালিক সাহারা বেগম ছাগল নিতে চাইলে তাকে ছাগল দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে ৫ দিন ধরে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট ধর্ণা দেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এরপর তাকে লোক মারফত জানানো হয় যে, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ২২ মে শনিবার ছাগলটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে দাবী করেছেন সাহারা বেগম। ছাগল বিক্রির টাকা থেকে জরিমানার ২ হাজার টাকা বাদ দিয়ে ৩ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য সাহারাকে খবর দেওয়া হয়েছে বলেও দাবী করেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণ-উপদ্রপ আইনে ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় জরিমানা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিঁনি ছাগল বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন। ছাগলটি একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে জানান। SHARES সারা বাংলা বিষয়: