আফগানিস্তানে গঠিত হলো নতুন সরকার!

প্রকাশিত: ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১

ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের নতুন সরকারের ঘোষণা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে সংকটে নেতৃত্বদানকারীদের।

★Supreme Leader★
সর্বো‌চ্চ নেতা=(হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা)

সুপ্রিম লিডারের দায়িত্ব:

-সুপ্রিম লিডার হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা হয়েছেন আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় প্রধান। তিনে হবেন আফগানিস্তানের সকল অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি (Foreign Policy) নির্ধারক।

– সুপ্রিম লিডারের হাতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধানসহ যাবতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে দেখাশুনা করার দায়িত্ব রাখা হবে।

– অন্য কোনো রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ বা শান্তি ঘোষণা করা কিংবা আন্তর্জাতিক চুক্তি বা সংস্থায় যোগ দেওয়া ইত্যাদি ক্ষমতা শুধু সুপ্রিম লিডারের হাতে থাকবে।

– বিচারবিভাগের বিচারকদের নিয়োগ বা বহিষ্কার সম্পূর্ণরূপে এই সুপ্রিম লিডারের হাতে থাকবে

★Prime Minister★
প্রধানমন্ত্রী=(মোল্লা মোহাম্মদ হাসান)

সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ‘রেহবারি শুরা’র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
“রেহবারি শুরাকে” অনেকটা একটি সরকারের মন্ত্রিসভার মতোও বলা যায়। যেখানে সর্বোচ্চ নেতার অনুমতিক্রমে গ্রুপের সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সুপ্রিম লিডার মোল্লা হায়বাতুল্লার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

প্রধানমন্ত্রীর পদটি রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর পদ৷ সুপ্রিম লিডার হবেন রাষ্ট্রের প্রধান আর প্রধানমন্ত্রী হবেন দেশের সরকার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনৈতিক, সামজিক, অবকাঠামো ইত্যাদি নীতি নির্ধারণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় কিছুটা লাগাম টেনে ধরা হয়েছে। যেমন প্রধানমন্ত্রী সর্বদা সুপ্রিম লিডারের কথামতো চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কখনো সুপ্রিম লিডারের মতের বিরুদ্ধে গেলে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা সুপ্রিম লিডারের হাতে হয়তো রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদ পরিচালিত হবে।

★Deputy Prime Minister★
উপপ্রধান মন্ত্রী=(মোল্লা আব্দুল গণি বারাদার)

তিনি প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফগানিস্তানের সামরিক কর্মকাণ্ডের অধিনায়ক। তার বয়স এখন ৫০-এর কোটায় বলে ধারণা করা হয়। ২০১০ সালে পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি বিশেষ দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকেই তিনি বন্দী ছিলেন এবং মাত্র গত বছরই অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান।

প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা বার্ধক্যজনিত কারনে অক্ষম হয়ে পড়লে কিংবা হঠাৎ মৃত্যুবরণ করলে তখন প্রধানমন্ত্রীর যাবতীয় কাজ ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীকে করতে হয়। ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর মূল কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করা।

★Foreign Minister★
পররাষ্ট্রমন্ত্রী=(আমির খান মুত্তাকি)

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ হচ্ছে সুপ্রিম লিডার এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে পররাষ্ট্রনীতি প্রনয়ণ করা।

★Deputy Foreign Minister★
উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী=(আবাস স্টানিকজাই)

উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ হচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সার্বিক সহযোগীতা করা। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন।

★Home Minister★
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী=(সিরাজুদ্দিন হাক্কানি)

নতুন সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ দেশের অভ্যন্তরীণ যাবতীয় বিষয় রক্ষণাবেক্ষণ করা।

★Education Minister★
শিক্ষামন্ত্রী=(নূরুল্লাহ মুনির)

নতুন সরকারে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নূরুল্লাহ মুনির। তার নেতৃত্বে আফগানিস্তানের নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন হতে যাচ্ছে।

★Defence Minister★
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী=(মোল্লা ইয়াকুব)

মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুবকে দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। দেশি-বিদেশি শত্রুদের থেকে দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব তার হাতে।

★ Deputy Defence Minister★
উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী=(মোল্লা আবদুল সালাম হানাফি)

উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে থাকবেন মোল্লা আবদুল সালাম হানাফি। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তিনি সবকিছু দেখাশোনা করবেন।

★Finance Minister★
অর্থমন্ত্রী=(হেদায়েতুল্লাহ বাদরী)

আফগানিস্তানের এই সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন হেদায়েতুল্লাহ বাদরী। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ আলোচনা করে দেশের সকল অর্থনৈতিক পলিসি নির্ধারন করার দায়িত্ব তার হাতে।

★Chief of Army Staff★
সেনাপ্রধান=(মৌলভী ক্বারী ফাসিউদ্দিন)

এছাড়া আফগানিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান হচ্ছেন মৌলভী ক্বারী ফাসিউদ্দিন।