আমাদেরকে অবশ্যই বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে;খাপাজেপ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী Twipra Jack Twipra Jack প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২ খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গিকার ডিজিটাল গ্রন্থাগার”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের আয়োজনে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার(৫ফেব্রুয়ারি)সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সাধারণ পাঠকক্ষের হলরুমে এ দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।জেলার ২টি লাইব্রেরীকে ৬’শ টি করে ১২’শ টি বই গ্রন্থাগার কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়।লাইব্রেরী দুটি লক্ষীছড়ি’র মংকে চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার ও কুন্ডলা স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিনিধিদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।সেইসাথে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ২১জন বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল হক ভূঞা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী। অনুষ্ঠানে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান রিকেন চাকমা’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ওয়েন চাকমা। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন,দেশের ইতিহাস জানতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।লাইব্রেরীমুখী হতে হবে।পরবর্তী প্রজন্মকে লাইব্রেরীমুখী করে বই পড়ার অভ্যাস করাতে হবে।তাদেরকে লাইব্রেরীমুখী করে দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আমরা শুধু শিক্ষিত হলে হবেনা,সুশিক্ষিত এবং আলোকিত মানুষ হিসেবে নতুন প্রজন্ম গড়তে চাই। মুজিববর্ষের উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৫লাখ টাকার বই পাঠ্যবই দেয়া হয়েছে।তিনি লাইব্রেরীর উন্নয়নের স্বার্থে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি আরো বলেন,দেশের গ্রন্থাগার পেশাজীবীদের জন্য দিবসটি প্রাণের স্পন্দন ও আবেগের। সারাদেশের গ্রন্থাগার পেশাজীবীরা তাদের নির্ধারিত এ দিবসটির জন্য দেশ স্বাধীনের পরও প্রায় ৪৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এ নবজাগরণকে ধারণ করে গ্রন্থাগারসেবীগণ তাদের কাজের মাত্রা ও মান দুটোই আরো জোরদার করতে অধিকতর নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।ও মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৃথক গ্রন্থাগার না থাকলেও বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের উপরে কিছু পুস্তক সংরক্ষণ করে একটি কর্নার স্থাপনের সরকারি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক মধুমঙ্গল চাকমা বলেন,পড়িলে বই আলোকিত হই,না পড়িলে বই অন্ধকারে রই।আমাদের ভালো মানুষ হতে হবে।ভালো মানুষ হতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বই পড়তে হবে।বই আমাদেরকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে।ভালো দেশ উপহার দিতে পারে।কাজেই বই পড়া আমাদের অবশ্যই দরকার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান,খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ত্রিনা চাকমা,ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ মনজুরুল আলম মজুমদার প্রমুখ। SHARES খাগড়াছড়ি বিষয়: