কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল Abrar Atik Abrar Atik প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২১ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় আজ শুক্রবার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে নেমেছে পর্যটকের ঢল। করোনা সংকট কাটিয়ে এ যেন নতুন রূপে ফেরা। সৈকতজুড়ে শুধু মানুষ আর মানুষ। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত অতিরিক্ত পর্যটক আগমন করে এ সমুদ্র সৈকতে। শুক্রবার বিকেলে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতের লাবণী, কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে হাজার হাজার পর্যটক। তারা বালিয়াড়িসহ সাগরের নোনাপানিতে আনন্দে মেতেছেন। কেউ ছবি তুলছেন, আবার কেউ সেলফিতে মেতে উঠেছেন। কেউ সমুদ্রের ঢেউয়ে পা ভেজাচ্ছেন, কেউবা সি-বেঞ্চে বসে আছেন আরাম করে। পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন অনেকে। ঢাকা থেকে আসা লামিয়া রহমান বলেন, করোনার আগের সমুদ্রসৈকত আর এখনকার সমুদ্রসৈকত কেমন জানি আলাদা মনে হচ্ছে। মানে আগের চেয়ে সুন্দর ও উপভোগ্য। শুধু অনুভব করতে পারলেই বোঝা যায় ইট-পাথরের শহরের বাইরে সমুদ্রসৈকত কতটা উপভোগ্য। সিলেট থেকে আসা নুসরাত-সাজিদ দম্পতি বলছেন, তারা কখনো ভাবতে পারেননি করোনা মহামারি কাটিয়ে সৈকতে সময় কাটাতে পারবেন। বিয়ের পর তাদের ইচ্ছে ছিল সমুদ্রে আসবেন। দেরিতে হলেও সে ইচ্ছে পূরণের কারণে তাদের আনন্দের মাত্রা একটু বেশি। বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমনে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে সৈকত এলাকার ফটোগ্রাফার, জেড স্কি ও বিচ বাইক চালকদের। একই সঙ্গে জমজমাট ব্যবসা বার্মিজ মার্কেটগুলোতেও। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে পণ্যের কেনাবেচায় সরগরম দোকানগুলো। হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার- এ তিনদিন পর্যটকের ব্যাপক সাড়া মিলছে। মনে হচ্ছে মহামারি কাটিয়ে আমরা আবার নতুন করে শুরু করতে পেরেছি। জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। করোনার চিন্তা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদেরকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরিধানে বাধ্য করা হয়। SHARES পর্যটন বিষয়: