কলেজ থেকে উদ্ধারকৃত নবজাতক দত্তক নিলেন স্মৃতি বিকাশ চাকমা দম্পতি

প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ছাত্রীদের কমনরুমের টয়লেট থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক কে আদালতের রায়ে অবশেষে দত্তক নিলেন স্মৃতি বিকাশ চাকমা ও অন্বেশা খীসা দম্পত্তি। নবজাতককে লালন-পালনের জন্য ৬ প্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সকল বিষয় বিচার বিশ্লেষণ মাধ্যমে আদালত স্মৃতি বিকাশ চাকমার দম্পতি হাতে লালন পালনের জন্য রায় দেন।

মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর ) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এর আদালত ৬ প্রার্থীর সকলের বক্তব্য ও শুনানী শেষে তিনি এই রায় দেন।

নবজাতক কোন সম্প্রদায়ের তা আদালতকে নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা। এদিকে, উদ্ধারকৃত নবজাতককে খাগড়াছড়ি জেলার মধ্যে দত্তক দিলে খোঁজখবরসহ দায়িত্ব পালনে বিষয় জানান খাগড়াছড়ির প্রবেশন অফিসার কৃতি বিজয় চাকমা।

এর আগে আদালত সকল প্রার্থীর সম্পত্তি,সামাজিক অবস্থান,শিক্ষাসহ সকল বিষয়ে অবগত হওয়ার পর ডাক্তার,প্রফেশনাল অফিসারসহ সকলের বক্তব্য পর্যবেক্ষণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষনা করেন।

দত্তক নেওয়ার পরিবারের পক্ষের আইনজীবি আফসার হোসেন রনি জানান, সকল বিষয় বিশ্লেষন করে আদালত এই রায় ঘোষনায় খুশি পরিবারটি। খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবি এড. আশুতোষ চাকমা পরিবারটির পক্ষের শুনানী করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক নবজাতক কে স্মৃতি বিকাশ চাকমা ও অন্বেশা খীসাকে লালন-পালন ও ভরন পোষনের রায় দেন।

প্রসঙ্গত,সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুটিকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ছাত্রীদের কমনরুমের টয়লেটে উদ্ধার করে। সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতককে ফেলে পালিয়ে যায় তার মা। পরে নবজাতকটি বর্তমানে খাগড়াছড়ি মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ নিয়ে খাগড়াছড়ি হাসপাতালের সমাজ সেবা অফিসার নাজমুল হাসান,খাগড়াছড়ি সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা,খাগড়াছড়ি প্রবেশন অফিসার কৃতি বিজয় চাকমা,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত বিধি অনুসরণ করে সর্বশেষ রায়ের কপি পাওয়ার পর নবজাতকে দত্তক নেওয়া অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।