কি দোষ ছিলো ডাঃ রাকিবের?

প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০

নাবিল মাহমুদ নিলয়ঃ

আজ এমন এক দেশের গল্প লিখতে বসিছি,যাকে নিয়ে যত কম বলা যায়,ততই ভালো।কারন এক বার বলা শুরু হলে শেষ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। কেনই বা হবে না যে দেশে “অনিয়মই আসল নিয়ম,
অন্যায়ই প্রধান ন্যায়” সে দেশের ভাগ্য আকাশে কালো মেঘের অস্তিত্ব অনুধাবন করতে বেশি কষ্ট হয় না। আসলে যখন একটা দেশের রক্ষকই ভক্ষক হয় তখন সে দেশের পরিনতি কি তা আর বলে সময় নষ্ট করলাম না।
আমরা এমন সমাজে বাস করছি,যেখানে যার যেটা করতে মন চাই তাই করা যায়। যার মন চাইল একজনকে রেপ করবে সে চাইলে তা পারবে।
কারও মন চাইল কাউকে হত্যা করবে, তাই সে করতে পারে।কারন কেউ স্বীকার করুক বা নাই করুক বাংলাদেশ কোনো আইনের শাসন নেই।
আইনের শাসন থাকলে হয়তো প্রাণ দিতে হতো না,নিষ্পাপ স্কুল পড়ুয়া হিরা মনি কে,প্রাণ দিতে হতো না গরীবের ডাক্তার খ্যাত ডা.আব্দুর রকিব খানকে।
কি দোষ ডাক্তার রকিব খানের,যখন করোনার ভয়াল থাবায় গোটা দুনিয়া মানুষ ক্লান্ত পরিস্রান্ত তখন তিনি
হাসপাতালে গিয়েছিলেন মানুষ এর কষ্ট কমাবেন বলে।আর দেখুন, সেই মানুষরূপী পশুরাই এমন পুরষ্কারে ভূষিত করল,যা দুনিয়ার কারো কাছে কাম্য নয়।খুলনা মেডিকেলে এক প্রেগনেন্ট মহিলা মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। ডাক্তার এর গাফিলতিকে সন্দেহ করে,মহিলার পরিবারের লোকজনরা তাকে হত্যা করে।
[Image.jpg]
এরকম একটা দেশ যেখানে কোনো আইনী ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না,দেশের জনগণই এক একজন আইনের বাহক হয়ে গেছে। কার কাছে কি বলবেন,আমরা জাতিগত ভাবে অনেক অনেক দূর পিছিয়ে গেছি।আমার কাছে মনে হয়, গোটা দুনিয়ায় হয়তো আমরাই একমাত্র জাতি যারা নিজেরা নিজেদেরকে ঠকিয়ে, কষ্ট দিয়ে, ছোট করে আনন্দ পাই। আমাদের কি এখনো বোধ উদয় হয় না?আর কত রক্ত, কত ধষিতার আতর্ চিৎকার, কত মজলুমের বুক ফাটা হাহাজারি আমরা শুনলে,আমরা এক হবো?
আজ যে করোনায় দিনের পর দিন, লক্ষ লক্ষ মানুষ এর মৃত্যু কারন হয়ে দাড়িয়েছে,সে করোনা কি আমাদের বিবেকে একবার হলেও এ প্রশ্ন জাগায় নি,কেনো এলো এই ভাইরাস? এটা কি শুধুই একটা ভাইরাস না কি আমাদের জন্য একটা ইঙ্গিত? রাসূল (সা.) বলেছেনঃ তোমরা সৎ কাজের উপদেশ দাও,অসৎ কাজের নিষেধ কর,তা না হলে আল্লাহ তোমাদের স্থলে অন্য জাতিকে আদিষ্ট করবেন অথবা তোমাদের মধ্য থেকে সবার্ধিক অন্যায়কারী,গুনাহগারী, অত্যাচারী লোকদেরকে তোমাদের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে দেবেন।এ সময় তোমাদের মধ্যকার মুমিন লোকদের মুক্তির জন্য দোয়া ও কান্নাকাটি আল্লাহ এর কাছে কবুল হবে না।
(মুসনাদে আহমাদ)
এ হাদিসটি কি আমাদের বর্তমান অবস্থা বোঝার জন্য যথেষ্ট না,নাকি আমাদের আরও ভয়াবহ কিছুর প্রয়োজন হবে?
ছবি-সংগ্রহীত।