গ্রামের প্রায় সকলেই বধির, কথা বলেন সাংকেতিক ভাষায়! Wasiq Ahmed Wasiq Ahmed প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২০ গ্রামে বাস করেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা গ্রামটি দেখলে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়! তবে একটি বিশেষ কারণে পরিচিতি পেয়েছে এই গ্রামটি। গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় সকলেই বধির। একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন সাংকেতিক ভাষায়! ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে উত্তরে অবস্থিত এই গ্রামের নাম বেংকালা। বিশ্বে অনেক মানুষই একে বধিরদের গ্রাম বা বলেই চেনেন। চাষাবাদ আর পশুপালনই এই গ্রামের বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা। পর্যটন থেকেও আংশিক উপার্জন হয় গ্রামবাসিদের। গ্রামে আসা পর্যটকদের সঙ্গেও ইশারায় ‘কথাবার্তা’ বলেন বেংকালার বাসিন্দারা। বেংকালার বাসিন্দারা যে সাংকেতিক ভাষায় পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন সেটিকে ‘কাতা কোলক’ বলা হয়। এই গ্রামের সকলেই বধির নন। তবে বেশির ভাগ বাসিন্দাই মূক-বধির হওয়ার সকলেই ‘কাতা কোলক’-এ পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন। এই ‘কাতা কোলক’ বেংকালা গ্রামের ঐতিহ্যেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে ইদানীং, গ্রামের বাসিন্দারা আন্তর্জাতিক সাংকেতিক ভাষাও শিখছেন। দেশ-বিদেশ থেকে এই গ্রামে আসা পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হল ‘জাঞ্জের কোলক’ বা বধিরদের নৃত্য। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দাই এক বিরল জিনগত ত্রুটির শিকার। এই বিশেষ জিনগত ত্রুটিকে বিজ্ঞানীরা ডিএফএনবিথ্রি নামে চিহ্নিত করেছেন। এই জিনগত ত্রুটির কারণে মানুষের শ্রবনশক্তি অত্যন্ত ক্ষিণ হয় বা বধির হন। SHARES পর্যটন বিষয়: