দীঘিনালায় ৫দিন ব্যাপি আইজিএ মাশরুম বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন Twipra Jack Twipra Jack প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২১ খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জেলা সমবায় কার্যালয়ের আয়োজনে ৫দিন ব্যাপী আইজিএ মাশরুম প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।প্রশিক্ষণ চলবে ৮ডিসেম্বর থেকে ১২ডিসেম্বর(শুক্রবার ব্যতিত)পর্যন্ত। বুধবার(৮ডিসেম্বর)সকালে ৪নং দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এ প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দীঘিনালা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা’র সবাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমবায় অফিসার আশীষ কুমার দাশ।এ প্রশিক্ষণ কোর্সে উপজেলার সমবায় সমিতির ২৫জন সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।এতে প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল,”বঙ্গবন্ধুর দর্শন,সমবায়ের উন্নয়ন”। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা সমবায় কার্যালয়ের প্রশিক্ষক মো: বেলাল হোসাইন’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা সমবায় অফিসার আশীষ কুমার দাশ বলেন,আজকে আমাদের প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছেন।উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে নারী-পুরুষ সকলকে একসাথে এগিয়ে যেতে হবে।তবেই আমরা একটি উন্নত বাংলাদেশ দেখতে পাবো। তিনি বলেন,বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর”।অর্থাৎ মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে নারী-পুরুষ উভয়ের অবদান সমান। সভ্যতার অগ্রগতির মূলে রয়েছে নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে নারী ও পুরুষের হাত ধরেই পৃথিবী সভ্যতার পথে এগিয়ে চলেছে। সভ্যতার এ অগ্রযাত্রায় মানবজাতির উভয় অংশের অবদানই গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত, অবহেলিত ও নির্যাতিত হয়ে আসছে। এ বৈষম্যের অবসান হওয়া প্রয়ােজন। কেননা নারী ও পুরুষ উভয়ই মানুষ, এ দুই সত্তার মাঝে যে কারও অধিকার খর্ব হলে ব্যাহত হবে কাঙ্খিত অগ্রগতি। মানুষ তার মেধা আর কায়িক পরিশ্রম দিয়ে তিল তিল করে গড়ে তুলেছে বর্তমান সভ্যতার তিলােত্তমা মূর্তি। এ নির্মাণ অভিযাত্রার নৈপথ্যে রয়েছে নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সভ্যতার বেদীমূলে পুরুষের পরিশ্রমের আর সংগ্রামের চিহ্ন খােদিত হলে তার সাথে স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে নারীর সেবা আর কর্তব্যনিষ্ঠাও। সভ্যতাকে সাজাতে-গােছাতে পুরুষ দিয়েছে শ্রম। আর তাতে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে নারী। সব যুগের সব দেশের মানুষের জন্য একথা সত্য। এখানে তাই স্বেচ্ছাচারিতার কোনাে সুযােগ নেই। তা সত্ত্বেও নারীদের অবদানকে অগ্রাহ্য করলে তা সামাজিক ভারসাম্যকে নষ্ট করবে। এমন অবস্থা কখনােই কাম্য হতে পারে না। পৃথিবীর সকল সভ্য সমাজ তাই নারীদের এ বিরাট ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েই উন্নয়নের পথে পা বাড়িয়েছে। প্রকৃতপক্ষে নর এবং নারী একে অপরের পরিপূরক। মানবকল্যাণের পথে তাই নারী-পুরুষ উভয়কেই অগ্রসর হতে হবে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালােবাসার অনুভূতির মধ্য দিয়ে। তিনি আরো বলেন,কোন কালে একা হয়নি কো জয়ী,পুরুষের তরবারি,শক্তি দিয়েছে প্রেরণা দিয়েছে বিজয় লক্ষী নারী..পুরুষের শৌর্য-বীর্য আর নারী হৃদয়ের সৌন্দর্য, প্রেম-ভালােবাসার সম্মিলনেই বিশ্বের সকল উন্নতি সাধিত হয়েছে। তাই নারী, পুরুষের পারস্পরিক সহযােগিতার মধ্য দিয়েই কেবল পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে গড়ে তােলা সম্ভব।তাই নারী পুরুষ সকলকে স্বাবলম্বী ও সকল কাজের প্রতি বাস্তব জ্ঞান লাভের কোন বিকল্প নেই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৪নং দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রজ্ঞান জ্যোতি চাকমা,আইজিএ মাশরুম বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষক ও নারী উদ্যোক্তা নিপু ত্রিপুরা প্রমুখ। SHARES খাগড়াছড়ি বিষয়: