বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই পার্বত্যঅঞ্চলকে চিনেছেন,উপলব্ধি করেছেন;মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু Twipra Jack Twipra Jack প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২১ খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট’র আয়োজনে ৪দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল ‘শিল্পের সাথেই থাকুন’। বৃহস্পতিবার (১৮নভেম্বর)সকালে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্কে(হর্টিকালচার পার্ক)-এ তিন পার্বত্য জেলার চিত্র শিল্পীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও স্বপ্নের পাহাড় আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।এতে অংশ নেন তিন জেলা থেকে ২০জন আর্ট শিল্পী।আজ ১৮নভেম্বর থেকে ২১নভেম্বর পর্যন্ত পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় শিল্পীদের আর্ট ক্যাম্পের কার্যক্রম চলবে।এতে আরো প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল”সর্বোপরি পুরোটা সময়ই আমরা থাকবো শিল্পের সঙ্গে প্রকৃতির সান্নিধ্যে”। এসময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। এসময় শীর্ষক আর্ট ক্যাম্পের আয়োজক উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা প্রতিবেদককে জানান,আমরা এই আর্ট ক্যাম্প করার কারণ হলো,বাংলাদেশের যতগুলো জাতিস্বত্বা রয়েছে,সে জাতিস্বত্বাগুলো মধ্যে বিশেষ সুযোগ সুবিধার অংশ হিসেবে আমরা এই আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করেছি।আমাদের এখানে তিন পাবত্য জেলা থেকে ২০জন আর্টিস্ট শিল্পীদের রেখেছি। তারা ১৮নভেম্বর থেকে ২১নভেম্বর পর্যন্ত ৪দিনব্যাপী প্রাকৃতিক পরিবেশের ছবি আকঁবে।তারা আমাদের তিন পাহাড়ের ছবি আকঁবে।তিনি আরো বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকী এই ক্যাম্পের একটি মূল উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনীর ব্যাখ্যাটি অনেক বড়। ১৯৭৫সালের ১৫আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি হত্যার স্বীকার না হতো,তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভেদ,সংঘাত হতো না।বঙ্গবন্ধু পার্বত্য চট্টগ্রামকে চিনেছেন,পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপলব্ধি করেছেন।তিনি এই পার্বত্যঅঞ্চলের মানুষকে ভালোবেসেছেন।স্বপ্নের সোনার বাংলার জন্য স্বপ্নের পাহাড় হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছেন।তারই ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭সালে ২রা ডিসেম্বর সমঝোতার মাধ্যমে পার্বত্য শান্তি চুক্তির স্বাক্ষরিত হয়।তখন এই পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেছে।আজকে এ জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং ইউনিয়ন,পাড়া মহল্লা উন্নয়ন হচ্ছে,রাস্তাঘাট পোঁছে গিয়েছে। আজ আপনারা দেখেছেন,শান্তি চুক্তির আগের পার্বত্য চট্টগ্রাম আর চুক্তির পরের পার্বত্য চট্টগ্রাম অনেক তফাৎ।উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে।কৃষি,স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাটসহ সবক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে।এইগুলি সবই শান্তি চুক্তির ফসল। তিনি আরো বলেন,পার্বত্যঅঞ্চলকে কিভাবে কে স্বপ্নের পাহাড় হিসেবে গড়ে তোলা যায়'”!সে বিষয়ে দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।পরিশেষে আর্ট ক্যাম্পের আয়োজক,আর্টশিল্পীসহ এই ক্যাম্পের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যারা রয়েছেন,তাদের সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন তিনি। উদ্বোনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঞা,নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা প্রমুখ। SHARES খাগড়াছড়ি বিষয়: