বাঁকড়ায় ফায়সাল ডিজিটাল এক্স-রে এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে প্রতিনিয়ত রোগী হয়রানী lorem ipsum lorem ipsum প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২১ বিশেষ প্রতিনিধি যশোর।। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া বাজারে অবস্থিত ফায়সাল ডিজিটাল এক্স-রে এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে ক্রমাগতই রোগীরা পাচ্ছে ভূল চিকিৎসা। বাঁকড়া বাজারের পাঁচ রাস্তার মোড়ের ব্রীজ রোডে মোড়ল সুপার মার্কেটের নীচ তলায় এই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন, প্রতিষ্ঠানের মালিক হাড় ভাঙ্গা, হাড় জোড়া, বাত রোগ ও শিরা রোগে অভিজ্ঞ ডিএমএফ (খুলনা), আরসিও (ঢাকা) ডাঃ এস.এম সামছুর রহমান। তার অর্জিত ডিগ্রী ও চিকিৎসার উপর ভিত্তি করে স্থানীয় সচেতন মহল জেলা সিভিল সার্জন’র প্রতি তার কাগজপত্র পরিক্ষা করে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, বাঁকড়া আলীপুর গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রী নাজমা খাতুন বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে বাঁকড়া বাজার হতে ছেলে সাকিবুল হাসান (৬) এর জন্য গ্যাসের ঔষধ কিনে, ইজিবাইকে বাড়ির সামনে নেমে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সময় ছেলে দৌড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময়, একটি ট্রলি এসে তার ছেলেকে আঘাত করে। ছেলে ঘটনাস্হলেই অজ্ঞান হয়ে গেলে ছেলেকে নিয়ে বাঁকড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে উপরে ওঠার সময় সিড়ির সাইটে থাকা ফায়সাল ডিজিটাল এক্স-রে এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে থাকা লোকজন বলে এইটাই ডাক্তার খানা। এই খানে নিয়ে আসেন,এই বলে আমার ছেলেকে নিয়ে অনেক সময় পার করে তাদের দেওয়া ব্যবস্থা পত্রে উল্লেখ করেন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হল, যশোর সদরে ভর্তি করবেন বলে ছেড়ে দেয়। কিন্তু ওই সময় আমরা সদরে নিয়ে গেলে আমার ছেলে হয়তো বাঁচতো না। যার জন্য আমরা বাঁকড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে, সেখানের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন(বাপ্পী) চিকিৎসা দেওয়ার পরে বর্তমানে আমার ছেলে সুস্থ আছে। সম্প্রতি ৭এপ্রিল বাঁকড়া বাজারে হালিমার হোটেল কর্মচারী রাব্বী (১৮) হাতের শিরা কেটে গেলে ফায়সাল ডিজিটাল এক্স-রে এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গেলে বিভিন্ন পরিক্ষা করে তাদের নিকট থেকে অধিক টাকা নিয়ে শিরা ঠিক না করে উপরের চামড়া টেনে সেলাই করে দেয়। পরবর্তীতে জ্বালা যন্ত্রনা হলে অন্য ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন মোটামুটি সুস্থ। গত বছর ২৫ আগষ্ট বাঁকড়া উজ্জ্বলপুর গ্রামের শামসুর রহমান রানা পড়ে গিয়ে হাতের কব্জিতে সামান্য আঘাত পায়। তারপর চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ফায়সাল ডিজিটাল এক্স-রে এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গেলে সেখান থেকে বিভিন্ন টেস্ট ও এক্স-রে করে হাতে প্লাষ্টার ব্যান্ডেজ করে দেন। পরবর্তীতে হাতের ব্যথা কম না হলে অন্য ডাক্তারের নিকট গিয়ে এক্সে-রে করে দেখেন হাতে কিছু হয়নি। সেই চিকিৎসকের লেখা ঔষধ খেয়ে ভাল হন। বাঁকড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন(বাপ্পী) বলেন, আমি এখানে কর্মরত অবস্থায় মাঝে মধ্যে কিছু সমস্যার সম্মুখিন হই। যেটা নন প্রফেশনাল ডাক্তার না হয়েও যে সব কাজ পেয়ে থাকি যেমন আজ (২২ এপ্রিল) সকালে একটা বাচ্চা এক্সিডেন্ট হয়ে আমার কাছে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসছিলো। নিচে থেকে ডাঃ সামছুর রহমান যে নিজেকে ডাক্তার দাবি করেন। সে আদৌ কোন রেজিষ্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তার না। তবুও তিনি নিয়মিত চেম্বার করেন। তিনি যখন বাচ্চাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সামলাতে পারলো না, ধীরে ধীরে বাচ্চাটা গুরুতর অবস্থায় যেতে লাগলো। পরবর্তীতে যখন আমাদের এখানে নিয়ে আসে তখন বাচ্চাকে সঠিক ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পরে বর্তমানে আল্লাহর রহমতে বচ্চাটা সুস্থ আছে। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: