বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্য আকাশ ছুঁতে পারে – ডেভিড বিসলে Abrar Atik Abrar Atik প্রকাশিত: ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২২ ইউক্রেন সংকটের জেরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্য আকাশ ছুঁতে পারে। অবস্থাপন্ন মানুষের জন্য তা বিশেষ উদ্বেগের না হলেও দরিদ্র মানুষের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে- এই মন্তব্য করেছেন ডেভিড বিসলে। ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ই মৌলিক খাদ্যসামগ্রী রপ্তানিকারক। যুদ্ধের কারণে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য রপ্তানিতে প্রভাব পড়েছে। ইতিমধ্যে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হতে শুরু করেছে, বেড়েছে দাম। ডেভিড বিসলে আরও বলেছেন, এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী বিপুলসংখ্যক মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে পড়েছে। বিষয়টি হলো দুই বছর ধরে সারা বিশ্ব করোনার সঙ্গে লড়াই করতে করতে যখন ক্লান্ত, যখন মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল, আর বুঝি খারাপ দিন আসবে না, তখনই এই যুদ্ধ। বাস্তবতা হলো পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন একসময় ‘ইউরোপের রুটির ঝুড়ি’ আখ্যা পেয়েছিল। বিশ্বের প্রায় এক–চতুর্থাংশ গম ও অর্ধেক সূর্যমুখীজাত পণ্য রপ্তানি করে এই দুই দেশ। আর ইউক্রেন প্রচুর ভুট্টা রপ্তানি করে। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, যুদ্ধের ফলে শস্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী গমের দাম দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। ডেভিড বিসলে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের বিজনেস ডেইলি প্রোগ্রামকে বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আগেই বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ৮ কোটি থেকে বেড়ে ২৭ কোটি ৬০ লাখে উন্নীত হয়েছিল। এর জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করেন —সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং করোনাভাইরাস; যেসব দেশ কৃষ্ণসাগর অঞ্চল থেকে শস্যের বড় অংশ আমদানি করে, চলমান সংকটের প্রভাব তাদের ওপরই বেশি পড়বে। এ প্রসঙ্গে লেবাননের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তারা যত খাদ্যশস্য আমদানি করে, তার অর্ধেকই করে ইউক্রেন থেকে। এই তালিকায় আরও আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন, সিরিয়া ও তিউনিসিয়া—তালিকা আরও দীর্ঘ করা সম্ভব। বিষয়টি হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন ও সিরিয়া এখন খাদ্য আমদানি করতে না পারলে নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: