বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তার সহযোগিতায় কাঠ-পাচার হরিণ নিধন ও কাকড়া আহরণ Admin Admin প্রকাশিত: ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩ এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ শ্যামনগরে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলমের সহযোগিতায় চলছে সুন্দরবনের হরিণ নিধন, মূল্যবান কাঠ-পাচার সহ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাকড়া আহরণ। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা করনের দাবি শ্যামনগরের সুধীজনের। জীব বৈচিত্র বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি বছর জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারি মাসে সুন্দরবনে কাকড়া প্রজনন ঘটিয়ে থাকে। যার কারণে এ দুই মাস সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণের পারমিট বন্ধ থাকে। অথচ বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম চিহ্নিত দালালদের মাধ্যমে উৎকোচের বিনিময়ে সুন্দরবনে কাকড়া মূল্যবান কাঠ পাচার ও হরিণ নিধন অব্যাহত রেখেছে। স্বরে জমিনে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। স্টেশন কর্মকর্তার সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে চোরাই চক্করের একটি সেন্টিকেট । এই সেন্টিকেট চক্রটি লোকালয়ে থাকা কতিপয় দালালদের মাধ্যমে স্টেশন কর্মকর্তাকে উৎকোচ দিয়ে থাকেন। বন বিভাগের তথ্য মতে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে সুন্দরবনের শুরু হয়েছে বাঘ গণনা। আর এর জন্য সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩ শত ৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। সম্প্রতি ওই সমস্ত চোরারা অবৈধভাবে কাঁকড়া আহরণ,মায়াবি হরিণ নিধন মূল্যবান কাঠ পাচারের সময় বাঘ গননার কিছু ক্যামেরা চুরি করে নিয়ে যায়। সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী ক্যামেরা চুরি হওয়ার কথা স্বীকার করলেও সংখার কথা বলেননি। তিনি ক্যামেরা চুরির ঘটনা নিয়ে সুন্দরবনে তোলপাড় করে বেড়াচ্ছেন।যার কারনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৪০ কেজি হরিনের মাংস সহ লাইলোনের হরিণ শিকারের ফাদ আটক করে । Rab ৬ এর সদস্যরা গত ৬ ফেব্রুয়ারি হরিনগর এলাকার এক বাড়ী থেকে একটি বাঘের চামড়া জব্দ করেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি কলাগাছিয়া বন টহল ফাড়ি সংলগ্ন মুরালী এলাকা থেকে একটি বাঘের কংকাল উদ্দার করেন। এছাড়া গত ১২ ফেব্রুয়ারি রেঞ্জ কর্মকর্তা নিজেই নিষিদ্ধ এলাকা থেকে ১৪ জেলে সহ ৫টি নৌকা আটক করেন। কথায় বলে চোরের সাত দিন আর গৃহের এক দিন। সুন্দরবনে বাঘ গননার ক্যামেরা চুরি না হলে সুন্দরবনে এতোকিছু ধরা পড়তোনা। আর বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আমিনের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতো না। সুন্দরবনের নিষিদ্ধ এলাকায় প্রতি গোন চুক্তিতে নিষিদ্ধ কম্পার্টমেন্ট খালগুলিতে চলছে হরিলুট। এ বিষয়ে শ্যামনগরের সুধীজন বন বিভাগের দায়িত্ব রত মন্ত্রি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: