বড়াইগ্রামের ৪নং নগর ইউনিয়নে কাফনের কাপড় পড়ে মিছিল।

প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২১

বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নে কাফনের কাপড় পড়ে মিছিল।

 

নাটোর প্রতিনিধি। নাটোরের বড়াইগ্রামে ৪নং নগর ইউনিয়নের ঘোড়া মার্কা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুজ্জোহা সাহেব তার সমর্থকদের নিয়ে মাথায় কাফনের কাপড় পরে মিছিল ও পথসভা করেছে। সোমবার বিকেলে মেরিগাছা বাজার হতে কয়েন বাজার পর্যন্ত ভ‍্যান, ভুটভুটি, বাস নিয়ে মাথায় কাফনের কাপড় পরে মিছিলটি কয়েন বাজারে আসে।পরে সেখানে ৩থেকে ৪হাজার সমর্থক নিয়ে পথসভা করেন।এই পথসভায় নেতৃত্ব দেন ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মস্তফা শামসুজ্জোহা সাহেব ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল হোসেন।

 

উল্লেখ্য কয়েন বাজারে ঘোড়াপ্রার্থী মোস্তফা শামসুজ্জোহা সাহেবের মিছিলটি পৌঁছালে পাচঁবাড়িয়ার কয়েন মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। অন্যদিকে নৌকা মার্কার লোকজন ঘোড়ার সমর্থকদের সামনে অবস্থান গ্রহণ করলেও পুলিশ তাদের কোন বাধা প্রদান করেনি।ধানাইদহ হতে কয়েন বাজার পর্যন্ত তাদের মিছিলও করতে দিয়েছে।

 

ঘোড়া মার্কা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মস্তফা শামসুজ্জোহা সাহেবের মিছিলে পুলিশ বাধা প্রদান করলে পাচঁবাড়িয়া ও কয়েন বাজার মোড়ে তারা অবস্থান গ্রহণ করে সেখানেই পথসভা করেন। পথসভায় বক্তব্য রাখেন,নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। কোন সহিংসতা চাই না। আমরা ভোট করতে এসে অনেক বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, আমাদের অফিস পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে।

 

ঘোড়া মার্কা প্রতীকের প্রার্থী শামসুজ্জোহা সাহেব বলেন, নির্বাচন করতে এসে আমাদেরকে অনেক ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে। ধানাইদহ একবার আমার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ৩৫জনের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে পরবর্তীতে রবিবার রাত্রে শুনলাম নৌকা মার্কা প্রতীকের কিছু লোকজন নগর থেকে ফেরার পথে নগর সাহেব বাজারে মাঝে ব্রিজের নিকট বিলের মধ্য রাতের অন্ধকারে কে বা কাহারা হামলা করেছে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই দোষীদের গ্রেফতার দাবী জানাই সেই সাথে প্রশাসনকে অনুরোধ করবো সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমার ১৭ জন কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে এবং রেজাউল মেম্বার ও বাবুকে গ্রেপ্তার করে হয়েছে। রেজাউল বর্তমান মেম্বার এবং এই নির্বাচনের মেম্বার পদপ্রার্থী আরেকজন বাবু গত নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী ছিলেন। আমি দুই জনের মুক্তি চাই ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করি আপনারা সুস্থ ও নিরপেক্ষ ভোট প্রদানের জন্য পরিবেশ তৈরী করে দিন। যার ভোট সে দিবে যাকে খুশি তাকে দেবে।যদি সুষ্টু নির্বাচন হয়, জনগন যদি ভোটাধিকার প্রদান করে তবে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যয়ও ব্যাক্ত করেন।