বড়াইগ্রামে প্রিয়তমা’র ওড়না পেঁচিয়ে কলেজ ছাত্রের আত্নহত্যা

প্রকাশিত: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৩

বড়াইগ্রামে প্রিয়তমা’র ওড়না পেঁচিয়ে কলেজ ছাত্রের আত্নহত্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি।

“মিত্তিকা তুমি আমার বিশ্বাসটা একদম শেষ করে দিয়েছো, আর বিশ্বাস ছাড়া বেঁচে থাকাটা সম্ভব না। তোমার মনে আছে তুমি আমাকে তোমার ব্যবহার করা একটা ওড়না দিয়েছিলে, আমি সেই ওড়নাতেই আজ ফাঁসি নিচ্ছি।” ফেসবুকে এমন আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ওই ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করে কলেজ ছাত্র ফাহিম ফয়সাল (১৯)। নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও পারকোল গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে চাপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক্যাল কলেজের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র ফাহিম ফয়সাল রবিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে কলেজ সংলগ্ন একটি মেসে আত্নহত্যা করে। তার মৃতদেহ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা।

জানা যায়, ফাহিম ও মিত্তিকা উপজেলার আগ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতো এবং সেখান থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসএসসি পাশ করার পর ফাহিম চাপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক্যাল কলেজে এবং মিত্তিকা মৌখাড়া কলেজে ভর্তি হয়। এর কিছুদিন পর মিত্তিকা এই প্রেমের সম্পর্ক থেকে সরে আসলে ফাহিম মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং অবশেষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্নহত্যা করে। ফাহিম ওই স্ট্যাটাসে তার মা’কে উদ্দেশ্য করে লিখেন, আম্মু পারলে আমাকে মাফ করে দিও। তোমার ছেলেটা এভাবে চলে যেতে চায়নি কখনও। ইচ্ছে ছিলো বড় কিছু হয়ে তোমার ইচ্ছে পূরণ করার। তোমার অনেক সম্মান নষ্ট করেছি…। সময় মতো ঔষধগুলো খেও। আমি জানি এটা মহাপাপ। তাও আমি এটা করতে বাধ্য হচ্ছি।”

মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এটা আবেগজড়িত একটি দুর্ঘটনা যা কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না। প্রতিটি পিতা-মাতাকে এ সব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।