মাটিরাংগা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Twipra Jack Twipra Jack প্রকাশিত: ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২২ খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃলা দেব এর দুর্নীতি সংক্রান্তের যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেয়া, দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ২নং তবলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া,ইউনিয়ন পরিষদ পরিবার ও জনপ্রতিনিধিরা।রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় তবলছড়ি ইউনিয়নের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন,সরকার প্রদত্ত গৃহায়ন প্রকল্প,গুচ্ছ গ্রাম ও এলাকার উন্নয়নমূলক সরকারি বরাদ্ধ টিআর,কাবিখা,কাবিটাসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে মাটিরাংগা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিয়ম ও দুর্নীতির পথ বেছে নিয়ে সকল উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ১৫% হারে কমিশন নেন।এ নিয়মবহির্ভূত ১৫%হারে কমিশন নেওয়ার ফলে এ ইউনিয়নের একদিকে যেমন উন্নয়ন কাজ ব্যহত হচ্ছে,চাহিদা মত সম্পাদন করতে পারছেনা।অপরদিকে নির্বাহী অফিসার দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসৎ উপায়ে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন।তাঁর এমন কর্মকান্ডের ফলে বর্তমান সরকারের উত্তরোত্তর উন্নতির দিনদিন ব্যহত হচ্ছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ সময় চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া মাটিরাংগা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের অনিয়ম ও দুর্নীতির সম্পর্কে অবগত করেন।দুর্নীতি ও অনিয়মগুলো নিম্নরুপ.. ১.গৃহ নির্মাণ ও আশ্রয়ন প্রকল্পে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সমন্বয় না করে ব্যক্তি লাভে ঘর প্রতি ২০হাজার টাকা হারে অবৈদভাবে ঘুষ নিয়ে তাহার মনোনীত ঠিকাদার দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়। ২.মনোনীত ঠিকাদারেরা ঘর মালিকদের কাছ থেকে ২০হাজার টাকা আদায় করছেন,এছাড়াও তাঁর মনোনীত ঠিকাদাররা ইট,বালি,কংক্রিট,সিমেন্ট,রড অতি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছেন। ৩.উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত গৃহনির্মাণ সামগ্রীর নিজ খরচে পরিবহন করার কথা থাকলেও তা না করে ঘর মালিকদের কাছ থেকে পরিবহনের খরচ নিচ্ছেন।এ বিষয়ে নির্বাহী অফিসারকে অবগত করালেও তিনি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ৪.সরকারি বরাদ্ধকৃত প্রকল্প থেকে তিনি ১৫%হারে কমিশন নিচ্ছেন।যার ফলে বরাদ্ধ অনুযায়ী কাজটি যথাযথভাবে সম্পাদনে ব্যহত হচ্ছে। ৫.প্রতি কার্ডে মাসিক ডিউ প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৩৮টাকা হারে বাধ্যতামূলকভাবে কমিশন আদায় করছেন। ৬.নাম পরিবর্তনে প্রতি কার্ড বাবদ ১২হাজার টাকা আদায় করে থাকে। ৭.নতুন কার্ড পাবার জন্য প্রতি কার্ড থেকে ৫০টাকা করে নিচ্ছেন। ৮. প্রতি গুচ্ছগ্রামে তদারকি কর্মকর্তাকে ৫,০০০*৪=২০হাজার টাকা প্রদান করতে হচ্ছে।এ সকল খাত পূরণ না হলে তিনি ডিউ ইস্যু করেন না। ৯.সরকারি নির্দেশনা বহির্ভূত ১৪জন কার্ড ধারীর ৬মাসের রেশন বিতরণ না করে তিনি নিজেই ৬মাসের রেশন বাবদ ১লাখ ৪৭হাজার টাকা আমার(চেয়ারম্যানের) নিকট থেকে নিয়ে যান। ১০.এলাকা উন্নয়নে উপজেলা ভিত্তিক সকল চেয়ারম্যানের সাথে তাঁর(নির্বাহী অফিসার) সৌহার্দপূর্ণ আচরনের কথা থাকলেও তিনি আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে যেকোন বিষয়ে আমার সাথে সমন্বয় করার প্রয়োজন মনে করেন না। ১১.বিগত ১৪-০৭-২০২২ইং তারিখে একটি সরকারি কাজে নির্বাহী অফিসারের অফিসে প্রবেশ করলে,কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তার অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।সে সময় উপস্থিত ছিলেন মাটিরাংগা পৌরসভার মেয়র শামসুল হক ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার। এ বিষয়ে জনদুর্ভোগ নিরসনের জন্য বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে যথোপযুক্তভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক নিরহ কার্ডধারী ও এলাকার উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তবলছড়ি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসন ১-২-৩নং ওয়ার্ডে সদস্য নুরুন নাহার,৪-৫-৬নং ওয়ার্ড সদস্য জমিলা বেগম,৭-৮-৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মোছা: মর্জিনা আক্তার,সদস্য মো: আহম্মেদ উল্লাহ কামাল,মোঃ সফিকুল ইসলাম,মোঃ শহীদুল ইসলাম,মোঃ শরিফুল ইসলাম,মোঃ আবুল হাশেম,মোঃ আবদুল মজিদ ও মেঃ বেলাল হোসেন প্রমুখ। SHARES খাগড়াছড়ি বিষয়: