লিবিয়ায় গুলিতে নিহত রাকিবুলের পরিবারে শোকের মাতম, বাকরুদ্ধ মা-বাবা News Publisher News Publisher প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২০ সম্পত্তি বিক্রি আর জমানো টাকা খরচ করে মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন বিদেশে। ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পাশাপাশি পরিবারের স্বচ্ছ্বলতার কথা ভেবেই লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে তাকে বিদেশ পাঠানোর তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের খাটবাড়িয়া গ্রামের ঈসরাফিল হোসেন। কিন্তু স্বপ্ন পূরণতো দূরের কথা; সন্তান আর সম্পত্তি হারিয়ে বাকরুদ্ধ ঈসরাফিল ও তার পত্নী। দিশেহারা পুরো পরিবার। লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদদের গুলিতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে রয়েছেন ঈসরাফিলের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (১৮)। লিবিয়া প্রবাসী রাকিবুলের চাচাতো ভাই শুক্রবার রাতে টেলিফোনে তার মৃত্যুর বিষয়টি স্বজনদেরকে জানানোর পর থেকে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহত রাকিবুল যশোর সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট রাকিবুল। রাকিবুলের চাচাতো ভাই ফিরোজ হোসেন জানান, তাদের আরেক চাচাতো ভাই লিবিয়া থাকেন। তার মাধ্যমে সেখানে বসবাসরত এক বাংলাদেশি দালালের সাথে পরিচয় হয় রাকিবুলের পরিবারের। ওই দালালকে সাড়ে চার লাখ টাকা দেওয়ার পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাকিবুল পাড়ি দেন লিবিয়ায়। কিন্তু দালাল চক্র লিবিয়ার একটি শহরে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। গত ১৭ মে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে পাচারকারী চক্রটি। আগামী পহেলা জুনের ভেতর দুবাইতে তারা ওই টাকা গ্রহণ করবে বলে জানায়। সন্তানের জীবনের কথা ভেবে টাকা দিতে রাজিও হন রাকিবুলের পরিবার। কিন্তু টাকা পাঠানোর আগেই খবর এলো দালাল চক্র লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মিজদা শহরে রাকিবুলসহ ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে। নিহতের বাবা ঈসরাফিল হোসেন বলেন, এখন কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না। মরদেহ কবে দেশে আসবে, তাও জানি না। ভাল থাকার স্বপ্ন দেখতে গিয়ে সবই হারালাম! স্থানীয় শংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিছারউদ্দীন বলেন, রাকিবুলের মরদেহ আইনী প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: