শান্তি চুক্তির ফলে আজ পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে;কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি Twipra Jack Twipra Jack প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২১ খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িগে ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৪বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার(০২ডিসেম্বর)সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে শান্তি চুক্তির ২৪বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।এতে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধূরী অপু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,শরণার্থী ও উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। শান্তি চুক্তির ২৪বর্ষ পূর্তির।আলোচনা সভায় জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন,শান্তি চুক্তির ফলে আজ পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে।ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তির দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে আজ ২ ডিসেম্বর। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শীর্ষ নেতা সন্তু লারমা। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে সন্তু লারমাসহ জনসংহতি সমিতির সদস্যদের অস্ত্রসমর্পণ শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ান বঙ্গবন্ধুকন্যা। শান্তিচুক্তির আগে অশান্ত পাহাড়ে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের জেরে অসংখ্য প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় বিনা রক্তপাতে দীর্ঘদিনের এই বিরোধের অবসান ঘটে, বইতে শুরু করে শান্তির সুবাতাস। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে অশান্ত পাহাড়ে পরিবর্তনের সূচনা হতে দেখেছিলাম। তাঁরই দিকনির্দেশনায় আজ আমূল বদলে গেছে তিন পার্বত্য জেলার চিত্র। এই অভাবনীয় উন্নয়ন অভিযাত্রা। গত ১৩ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যার গৃহিত সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার আওতায় দুর্গম পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে পৌছে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ; নির্মিত হয়েছে পাকা সড়ক, ব্রীজ ও কালভার্ট। শিক্ষার আলো পৌঁছে গেছে ঘরে ঘরে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা। তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় আধুনিক হয়ে উঠেছে তাদের জীবনব্যবস্থা। এক সময়ের অশান্ত পাহাড়ের অন্ধকার ঘুঁচিয়ে আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাইদ,জেলা পুলিশ সুপার আবদুল আজিজ,খাগড়াছড়ির জোন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলী রেজা,সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম,জেলা সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ,উপজাতীয় টাস্কফোর্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা,নির্বাহী কর্মকর্তা এম. রাশেদুল হক,জেলা পরিষদের সদস্য হিরনজয় ত্রিপুরা প্রমুখ। SHARES খাগড়াছড়ি বিষয়: