শ্যামনগরে মুন্সীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম মৃধার বিরুদ্ধে অনাস্থা,অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৩


এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা ও প্যানেল চেয়ারম্যান উৎপল জোয়ারদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিকার চেয়ে রবিবার ৩০ জুলাই সকাল ১০.৩০মিনিটে ১১ জন নির্বাচিত ইউপি সদস্যে এ,জলিল,মোঃ আনারুল ইসলাম,জাহাঙ্গীর হোসেন,হরিদাস হালদার,কাজল কান্তি সরকার, সিরাজুল ইসলাম,দেবাশীষ গায়েন,মোঃ জিয়াউর রহমান,নিপা চক্রবর্তী,মোছাঃ রেহানা পারভীন,উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেনের কাছে অভিযোগ ও পরিষদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করা বা অনাস্থা দাবিতে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আমার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ইউপি সদস্যবৃন্দ।আমরা সকলে প্রায় ১ বছর ৬ মাস ইউনিয়ন পরিষদের ইউ,পি সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। করাকালীন সরকারী/বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সকল বাজেট (বরাদ্দ ও সুবিধাগুলি চেয়ারম্যান অসীম মৃধা ও প্যানেল চেয়ারম্যান উৎপল জোয়াদ্দার এর অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা সহ্য করিতে না পারিয়া আমার বাধ্য হইয়া চেয়ারম্যান অসীম মৃধা ও প্যানেল চেয়ারম্যান উৎপল জোয়াদ্দার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।
ইউনিয়নের প্রায় প্রত্যেকটি জনগন অবগত আছে যে, ইউনিয়ন পরিষদ হইতে সরকারী কোন কিছু সুবিধা পাইতে হলে চেয়ারম্যান অসীম মৃধাকে টাকা ঘুষ দিতে হবে এবং আমরা ইউপি সদস্যবৃন্দ অবগত আছি। সরকারী কোন বরাদ্দ নিতে গেলে চেয়ারম্যান অসীম মৃধাকে ঘুষ দিতে হবে। চেয়ারম্যান অসীম মৃধা সরকারী বরাদ্দ যেমন টি,আর/কাবিটা,কাবিখা ১% এর বরাদ্দ এবং উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের বরাদ্দ নিতে হলে চেয়ারম্যান অসীম মৃধাকে ৫০ হাজার টাকা অগ্রীম ঘুষ দিতে হয়। জনগনের ব্যবহারের জন্য সরকারী ভাবে বরাদ্দ বা এনজিও কর্তৃক বরাদ্দ যেমন-ড্রাম/টিউবওয়েল নিতে হলে ১৫ হাজার টাকা চেয়ারম্যান অসীম মৃধাকে ঘুষ দিতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনামূল্যে দেওয়া ভিডব্লিউবি এর চাউলের কার্ড নিতে হলে চেয়ারম্যান অসীম মৃধাকে ৭ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। রেশন কার্ড ৫ হাজার টাকা, গর্ভকালীন ভাতা-৫ হাজার টাকা,টিসিবি পণ্য কার্ড-২ হাজার টাকা,বয়স্ক ভাতা ৩ হাজার টাকা,বিধবা ভাতা ৩ হাজার টাকা,প্রতিবন্ধী ভাতা ৩ হাজার টাকা,ভূমিহীন প্রত্যয়নপত্র ৩ হাজার টাকা,জেলে বাওয়ালী কার্ড ২ হাজার টাকা চেয়ারম্যান অসীম মৃধাকে ঘুষ দিতে হয়। জন্ম নিবন্ধন ফি ২৫০ টাকা,ওয়ারেন কায়েম ফি ২০০ টাকা,ট্রেড লাইসেন্স ৯২০ টাকা আদায় যাহা আমাদের সহিত কোন আলোচনা না করিয়া স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে জুলুম পূর্বক জনগনের নিকট হতে আদায় করিয়া পরিষদের ক্যাশে আংশিক জমা দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করে। সরকার কর্তৃক গরীব মানুষের ফিতরা বাবদ ভিজিএফ চাউল ও জেলে বাওয়ালীদের চাউল বিক্রয় করিয়া চেয়ারম্যান অসীম মৃধা আত্মসাৎ করে এবং অনেক প্রজেক্ট পি,আই অফিসে ও উপজেলা পরিষদে দাখিল করিয়া প্রজেক্ট মাফিক কাজ না করিয়া প্রজেক্টের টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করে। প্রতি বছর এলাকার জনগনের নিকট হতে। একবার এর স্থলে একাধিকবার ট্যাক্স আদায় করে পরিষদের ক্যাশে ঠিকমত জমা না দিয়া চেয়ারম্যান অসীম মৃধা আত্মসাৎ করে। পরিষদের ক্যাশে পর্যাপ্ত টাকা থাকা স্বত্ত্বেও আমাদের সম্মানী ভাতা প্রদান না করিয়া আমাদের সম্মানী ভাতার টাকা নিজে আত্মসাৎ করে। রাস্তার পাশে মাটি ভরাট করার জন্য মহিলা শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে মাথাপিছু ৩০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণসহ জোনিং সিস্টেম এর নাম করে ঘের মালিকদের নিকট হতে অর্থ আদায় করা অর্থ্যাৎ প্রত্যেকটি খাতে চেয়ারম্যান অসীম মৃধা টাকা আত্মসাৎ করে চলেছে। আমরা প্রতিবাদ করিতে গেলে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার সহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। উক্তরূপ কাজগুলি প্যানেল চেয়ারম্যান উৎপল জোয়ারদারের সার্বিক সহযোগিতা করে চলেছে। চেয়ারম্যান অসীম মৃধার অনিয়ম, দূর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমরা এলাকার জনগনের নিকট প্রতিনিয়ত অপমান অপদস্ত হচ্ছি।চেয়ারম্যান অসীম মৃধা ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ এর কোন তোয়াক্কা না করিয়া প্রতিনিয়ত অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা করিয়া চলেছে।
চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা ও প্যানেল চেয়ারম্যান উৎপল জোরদারের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা ও ইউনিয়ন পরিষদের সেবা ফিরিয়ে আনতে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি কামনা করছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে, আমি অনাস্থা ও অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কোন বক্তব্য নেই। নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বিষয়টা নির্বাহী অফিসার দেখবে।