শ্যামনগরে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক” ২ মাসের অন্তঃসত্তা

প্রকাশিত: ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৩


এম কামরুজ্জামান শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২ বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নের মনিরুল (২২) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ছেলে ও মেয়ের বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় প্রতি দিন রাতে বিয়ের লোভ দেখিয়ে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করত।এক পর্যায়ে মেয়ের পেটে বাচ্চা যাওয়ার পরে বাচ্চা(ভ্রুন) নষ্ট করার জন্য মনিরুল স্থানীয় একটি দোকানে ঔষধ কিনতে যায়। দোকানদার এই ঔষধ কি করবে জানতে চাইলে সে কোন উত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে বিভিন্ন ভাবে জিজ্ঞাসা করলে সে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলে। তাদের মাধ্যমে জানতে পেরে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।ঘটানার বিষয় ভিকটিম বলেন, আমার সাথে ২ বছরের মত প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে বিয়ে করবে বলে শারীরিক সম্পর্ক করে। এখন আমার পেটে ২ মাসের বাচ্চা এই বাচ্চা নষ্ট করার জন্যে ওষুধ কিনতে গেলে আমি বাচ্চা নষ্ট না করতে চাইলে মনিরুল আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বিষয়টা আমার বাড়িতে জানাই। এখন যদি মনিরুল বিয়ে না করে তাহলে আমার মারা যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই।ভিকটিমের মা জানান, মেয়ের সাথে মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এই বিষয়টা আমরা কেউ জানতাম না। যখন জানতে পারি তখন ছেলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে ছেলেসহ তার তালবাহানা শুরু করে।মনিরুলের বাবা বিষয়টা স্বীকার করে বলেন, আমার ছেলেকে ঐ মেয়ের সাথে বিয়ে দিবো বলে কথাবার্তা চলছে। আপনার রিপোর্ট করতে হবে না।স্থানীয় ইউপি সদস্য গাজী আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি উভয় পক্ষের কাছে শুনে ঘটনার সত্যতা পাই এবং তাদের আইনের আওতায় যেতে বলি।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।