সান্তাহারে প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ৫ জনের লাশ উদ্ধার Ahsan Habib Ahsan Habib প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১ আহসান হাবিব শিমুল (আদমদীঘি প্রতিনিধি) মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে শহরের একটি প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। প্রাথমিক অবস্থায় উদ্ধার করা লাশের পরিচয় মেলেনি। আগুনে ওই কারখানার সব প্লাস্টিক পণ্য ও মালামাল পুড়ে গেছে। এতে প্রায় প্রায় ৩০/৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ দাবী করেছেন। ওই কারখানায় প্লাস্টিকের প্লেট ও গ্লাস তৈরি করা হতো। জানা গেছে, এদিন পৌনে ১২টার দিকে বি,আই,আর,এস নামক প্লাস্টিক কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে কারখানার ভিতরে কর্মরত শ্রমিকরা আত্মচিৎকার শুরু করে। এলাকাবাসী ঘটনাটি জানতে পেরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। আদমদীঘি থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। আগুনের মাত্রা বাড়তে থাকলে পাশের নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস ও বগুড়া জেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে যৌথ প্রচেষ্ঠায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চালাতে থাকে। ফায়ার সার্ভিসের বগুড়া ও নওগাঁর মোট ১২ ইউনিট প্রায় তিন ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়। এখন কারখানার দেওয়াল ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা কারখানার ভিতর থেকে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া ৫ লাশ উদ্ধার করে। এখবর পাঠানো সময় পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে স্বজনহারানোদের আহাজারি করতে দেখা যায়। নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্য শফিউল ইসলাম গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আগুন লাগার সঠিক কারন এখনো জানা যায়নি। তবে কারখানার আভ্যন্তরীন অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত ছিল বলে জানান। কিন্তু ওই কারখানার চার মালিকের মধ্যে এক নম্বর মালিক সান্তাহার পৌর সভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার দাবী নাকচ করেন। তিনি দাবী করেন আভ্যন্তরীন অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্তিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবনী রায় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এরিপোর্ট পাঠানো সময় পর্যন্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। এদিকে, খোঁজ না পাওয়া ৫ জনের মধ্যে সান্তাহার পৌর শহরের ঘোড়াঘাট মহল্লার মৃত আফসার আলীর ছেলে আব্দুল খালেক(৪৫), কোমল দোগাছি মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে সজিব(১২) এবং শহর কোলের সান্দিড়া গ্রামের শাহজাহান(৩০) এর স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। তাদের আহাজারিতে ঘটনাস্থলের আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠে। ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধার করা ৫ লাশের মধ্যে রয়েছে খোঁজ না মেলা ওই ৩ জন। SHARES সারা বাংলা বিষয়: