সান্তাহারে বড় মাদ্রসা সিলগালা করেছে রেলওয়ে ভূমি বিভাগ Ahsan Habib Ahsan Habib প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২১ আহসান হাবিব শিমুল (আদমদীঘি প্রতিনিধি) বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের পাশে রেলভূমি অবৈধ ভাবে দখল করে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে দারুল উলুম কাউমিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা (বড় মাদ্রাসা নামে পরিচিত) প্রধান গেট সিলগালা করে দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভূমি বিভাগ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকাল ৩টার দিকে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। রেলওয়ে পাকশী বিভাগের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুরুজ্জামান তাঁর ফেসবুক পেইজে এসংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন। তাঁর পোস্ট ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। ওই কর্মকর্তার পোস্ট থেকে জানা গেছে, সান্তাহার জংশন স্টেশনের পশ্চিম পাশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ৮ একর জমি অবৈধ ভাবে দখল করে স্টেশন জামে মসজিদ এবং ওই মাদ্রাসা নির্মান কাজ চলে আসছে প্রায় দুই যুগ ধরে। বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও রেলভূমি লিজ গ্রহণ করতে আগ্রহ দেখায়নি তাঁরা। ইতোমধ্যে বিশাল এলাকা নিয়ে তিন তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে অবৈধ ভাবে দখলে থাকা ব্যক্তিদের উচ্ছেদ ও রেলওয়ে ভূমি উদ্ধারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে এসে মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটিকে লিজ গ্রহনের অনুরোধের পাশাপাশি অন্ততঃপক্ষে তিন তলা নির্মাণ না করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা অনুরোধ ও পরামর্শ কোনটায় মানেননি। একারনে আজ মাদ্রাসার প্রধান গেটে তালা দিয়ে সিলগালা করা হয়েছে। বর্তমান কমিটি নিজেদের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার লিখিত অঙ্গিকার না করা পর্যন্ত সিলগালা আর খুলে দেওয়া হবে না। এক পর্যায়ে রেলওয়ের ভূমি কর্মকর্তা তাঁর স্ট্যাটাসে বলেছেন অপরের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে নির্মান করা মসজিদ, মন্দির বা প্রার্থনার জায়গায় ইবাদত কিংবা উপাসনা কবুল হয় কি-না জানি না। এবিষয়ে ওই মাদ্রাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি ও গভর্নর বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা কছিম উদ্দিন আহমেদসহ অন্যনান্য নেতৃবৃন্দ এবং সান্তাহার পৌর মেয়র বিএনপি নেতা তোফাজ্জাল হোসেন ভুট্টু গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন রেলওয়ে ভূমি বিভাগের কর্মকর্তার সাথে আলোচনা হয়েছে। বাদ আসর সিলগালা খুলে দেবেন। অপরদিকে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নুরুজাজামান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির কারো সাথে কোন আলোচনা হয়নি। নিজ দায়ীত্বে ইমারত ভেঙ্গে ফেলার অঙ্গিকার না করা পর্যন্ত সিলগালা খুলে দেওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। SHARES সারা বাংলা বিষয়: