অধিকাংশ ম্যাচ ফিক্সিং এর সাথে জড়িত ভারত : আইসিসি

প্রকাশিত: ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ২১, ২০২০

ক্রিকেট এর সাথে ফিক্সিং শব্দটা যেন ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে গেছে। একের পর এক ফিক্সিং এ তটস্থ ছিলো ক্রিকেট দুনিয়া আর এই ফিক্সিং এর সাথে ভার‍তীয় সংশ্লিষ্টতার সবচেয়ে বেশি প্রমাণ পেয়েছে আইসিসি।

এখনো ম্যাচ পাতানোর অধিকাংশ ঘটনা ভারতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইসিসি। এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভেতর ভারত এবং পাকিস্তানের ম্যাচ ফিক্সিংই সর্বদা আলোচনার কেন্দ্রে থাকে।

২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা ফাঁস হয়েছে। আইসিসি ভেবেছিল, এর ফলে ভারতে ম্যাচ পাতানো ও এ সংশ্লিষ্ট লোকজনের দৌরাত্ম কমবে। কিন্তু তা আর হলো কই! এখনো ম্যাচ পাতানোর যত ঘটনা, তার অধিকাংশেই ভারত সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাচ্ছে আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধী বিভাগ।

ক্রীড়া আইন ও নীতিসংক্রান্ত এক ক্লাসে আজ আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট (এসিইউ) এর তদন্ত সমন্বয়ক স্টিভ রিচার্ডসন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্ধকার দিকের কথা তুলে ধরেছেন। জুয়াড়িরা এখন ঘরোয়া ক্রিকেটের নিচু স্তরে নজর দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রিচার্ডসন, ‘আমরা এখন ম্যাচ পাতানো নিয়ে ৫০টি ঘটনা তদন্ত করছি এবং অধিকাংশ অভিযোগই ভারত সংশ্লিষ্ট।’
নিয়মিত এমন অপরাধ করছেন, এমন জুয়াড়িদের নাম সংস্থাটির কাছে আছে – এমন দাবিও করেছেন রিচার্ডসন, ‘খেলোয়াড়েরা হলো এই চেইনের শেষ যোগসূত্র। আসল সমস্যা হলো যারা এই অপরাধের আয়োজক। যারা খেলোয়াড়দের টাকা দিচ্ছে। যারা খেলার বাইরে। আমি এখনই এমন আটজনের নাম ভারতের পরিচালনা সংস্থার কাছে দিতে পারি যারা নিয়মিত খেলোয়াড়দের এভাবে বিপথে টেনে নিচ্ছে।’
ভারতে কিছুদিন আগেই ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে কর্ণাটক লিগ বাতিল হয়েছে। এক দলের মালিক ও কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু এসিইউ বলছে, এসবে কোনো লাভ হবে না, যত দিন না ভারতে ম্যাচ পাতানোকে ফৌজদারি আইনে অপরাধ বলে ঘোষণা করা না হয়। রিচার্ডসন শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা প্রথম দেশ হিসেবে ম্যাচ পাতানোর আইন এনেছে। এ কারণে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট এখন আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে আমরা আগ থেকেই সতর্ক। বর্তমানে ভারতে কোনো আইন নেই, ফলে ওরা (দুর্নীতি বিরোধী কমিটি) এক হাত বাঁধা অবস্থায় কাজ করছে।’

ভারতের মত এত বড় ক্রিকেট বাজার সারা দুনিয়াতে আর আছে? ১৩০ কোটি জনসংখ্যা, বাকী ক্রিকেট দুনিয়ার জনসংখ্যা এক করলেওতো ভারতের সমান হবেনা। বিসিসিআই একাই অন্য সকল ক্রিকেট বোর্ডের সম্মিলিত প্রভাবের চেয়েও অনেক বড়। যে বাজার যত বড় সে বাজারে দুর্নীতির পরিমানটা বড়ই দেখাবে। এইটা যেন অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই দেখছে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট।