অপরাধ ঢাকতে পাল্টা সাজানো সাধারন ডায়েরীর অভিযোগ” সাংবাদিক মহলের নিন্দা

প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২২


বেনাপোল প্রতিনিধিঃ

দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে মহাসিন মিলন কর্তৃক প্রথমে মুঠোফোনে হুমকী ও পরে অপহররণ চেষ্ঠা চালালে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করায় অপরাধ ঢাকতে সাজানো পাল্টা জিডির সন্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বেনাপোলের তরুন সাংবাদিক ও গ্রামের কন্ঠ পত্রিকার বেনাপোল প্রতিনিধি জাহিদ হাসান।
সোমবার ৮ আগস্ট বেনাপোল সাংবাদিক সমাজ আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে এ অভিযোগ জানান। বেনাপোল কাস্টমস্ কর্মকর্তার দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে গত ৪ আগস্ট জাহিদ হাসানকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ হুমকী সহ অপহরণ চেষ্ঠা চালানোয় নিরাপত্তা জনিত কারনে ৬ আগস্ট বেনাপোল পোর্টথানায় ইনকিলাব পত্রিকার সাংবাদিক ও বেনাপোলের সি এন্ড এফ এজেন্ট ব্যবসায়ী মহাসিন মিলনের নামে বেনাপোল পোর্টথানায় সাধারন ডায়েরী অন্তভূক্ত হয় বলে জানা গেছে। যাহার ডায়েরী নং-২৬৪ ও তারিখ ৬-৮-২০২২ ইং। এর এক দিন পর ৭ আগস্ট অভিযুক্ত মহাসিন মিলনও পাল্টা সাধারন ডায়েরী অন্তভূক্ত করেন। যাহার ডায়েরী নং-৩১৬ ও তারিখ ৭-৮-২০২২ ইং। বেনাপোল পোর্টথানার এস আই সোহেল রানা পাল্টা পাল্টি সাধারন ডায়েরী অর্ন্তভূক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বিষয়গুলো তদন্তধীন। অভিযোগের বিশদ জানিয়ে জাহিদ হাসান বলেন পেশাগত কাজে মহাসিন মিলনকে ফোন করে প্রাপ্ত তথ্যের বক্তব্য নিতে চাইলে আচমকা তিনি হুমকি ধামকী দিতে থাকেন। আমি তাহার কথা রেকর্ড হচ্ছে জানালেও তিনি আরো বেপরোয়া হুমকি দিয়ে আমি কোথায় জানতে চাই। আধা ঘন্টা পরে তার ১০/১২ জনের পৌষ্য বাহিনী প্রাইভেট কার যোগে এসে বেনাপোল স্টেশন রোড এলাকায় আমি অবস্থান কালে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা চালায়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে আমাকে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই আমি বেনাপোল পোর্টথানায় হাজির হয়ে নিরাপত্তা জনিত কারনে জিডির আবেদন করি। বেনাপোল পোর্টথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীর্ঘসময় যাচাইবাচাই করে সাধারন ডায়েরীটি অর্ন্তভূক্ত করেন। এ সময় আমি নিরাপত্তাহীনতায় বাসায় অবস্থান করি।পরবর্তী সময়ে আমি জানতে পারি গত ৭ আগস্ট মহাসিন মিলন আমার নামে মিথ্যাচার করে পাল্টা জিডি করেছে। জিডির বক্তব্যে তিনি আমাকে কথিত সাংবাদিক বা সাংবাদিক পরিচয়দানকারী বলেছেন যা তিনি প্রকাশ্য আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা আমার আত্মসন্মানের জন্য মানহানীকর।সাধারন ডায়েরীতে তিনি মনগড়া আমাকে চাঁদাবাজ, ষড়যন্ত্রকারী ও খুন জখম করিবার হুমকী প্রদানকারী বলেছেন যা আমি প্রত্যাখান সহ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।তিনি নিজ স্বার্থ হাসিলে মিথ্যাচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং নিজের অপরাধ লুকানোর পায়তারা চালাচ্ছে।