আজ থেকে চুয়াডাঙ্গায় সাত দিনের কঠোর লকডাউন; চলবে না মোটরসাইকেল-অটোরিক্সাও

প্রকাশিত: ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ২০, ২০২১

আজ রবিবার (২০ জুন) সকাল ৬টা থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার পৌর এলাকা ও আলুকদিয়া ইউনিয়নে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালে সবকিছু বন্ধ থাকবে। সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত কাচাবাজার নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখা যাবে। কোন যানবাহন চলবে না। এমনকি মোটরসাইকেল অটোও চলবে না। ওষুধের দোকান খোলা রাখা যাবে। লকডাউন চলাকালে চা দোকানও বন্ধ রাখতে হবে।

শনিবার বিকেল ৪টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ কমিটির সভায় জেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ১৪ দিনের জন্য দামুড়হুদা উপজেলা লকডাইনের আজ ৬ তম দিন। দামুড়হুদায় করোনা ভাইরাস কিছুটা কমলেও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার জরুরী সভা আহ্বান করা হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা ও পার্শ্ববর্তী আলুকদিয়া ইউনিয়ন কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে এ লকডাউন আগামী ২৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। প্রয়োজনে ২৬ জুন আসলে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। লকডাউন চলাকালে শহরে একটিও অটো চলবে না। মোটরসাইকেলও বন্ধ থাকবে। লোকাল বাস শহরে চলবে না। দূরপাল্লার পরিবহনগুলো চললেও তা শহরের মধ্যে থেমে যাত্রী ওঠানো নামানো করবে না। শুধুমাত্র টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়বে এবং ওখান থেকেই যাত্রী ওঠা নামা করবে। কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দোকান সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। কাঁচাবাজারের কথা বলে কেউ ব্যাগ ছাড়া ঘুরলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লকডাউন চলাকালে একটি চায়ের দোকানও খোলা থাকবে না। অটো চালক ও চা দোকানীদের প্রয়োজনে নির্ধারিত পরিমানের চা্‌উলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হবে। শুধুমাত্র ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। শতভাগ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোন ব্যাক্তিকে বাড়ির বাইরে পাওয়া গেলে তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।

কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন, ৬ বিজিবি অধিনায়ক, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতিসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।