আতঙ্কের নাম সিংকহোল News Publisher News Publisher প্রকাশিত: ২:৪৮ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২১ বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্কের নাম ‘সিংকহোল’। গত ১ মাসে ৫ দেশে দানবাকৃতির গর্ত তৈরির পর আলোচনায় এসেছে এই প্রাকৃতিক দু’র্যোগের উৎপত্তি ও কারণ। সম্প্রতি ঝড়-বৃষ্টি, ভূমিধ্বসের মতোই বেড়েছে সিংকহোল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু সংকটের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দানবীয় গর্ত তৈরিতে। তবে প্রকৃতিতে এমন দানবীয় গর্ত তৈরির ঘটনা নতুন নয়। যুগে যুগে এই প্রাকৃতিক দু’র্যোগ দেখা গেছে বিভিন্ন দেশে। তবে বর্তমানে অনেকটা বেড়েছে এর হার। গেল বছর ডি’সেম্বরে এক ভূমিকম্পের পর একশ’র বেশি সিংকহোল তৈরি হয় ক্রো’য়েশিয়ায়। গত এক মাসে তুরস্ক, ইতালি, মেক্সিকো, ইস’রায়েলের পর এবার ভা’রতেও তৈরি হয়েছে সিংকহোল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক’য়েক দশক এমনকি শতাব্দী লাগে একটি সিংকহোল তৈরি হতে। ইউএসজিএস বলছে, ভূগর্ভ’স্থ পানি অথবা খনিজ উত্তো’লন করা হলে মাটির অভ্যন্তরে ফাঁপা জায়গা তৈরি হয়। নিচের স্তরের মাটি যখন ভূমির উপরের চাপ নিতে পারে না তখনই ধসে পড়ে আর তৈরি হয় বিশালাকার গর্ত। প্রকৃতিতে হঠাৎ সিংক’হোল তৈরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ স’ম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আশ’ঙ্কাজনক হারে তাপমা’ত্রা বৃদ্ধিতে বেড়েছে খরা। কমেছে পানির স্তর। মাটি ক্ষয়, মিথেন গ্যাসের প্রভাব, অধিক হারে ভূগর্ভস্থ পানি ও খনিজ পদার্থ উত্তো’লনও দায়ী। অ’পরিক’ল্পিত ভূগর্ভস্থ সুয়ারেজ লাইন বা মাটির নিচে নির্মাণ কাজকেই মনে করা হচ্ছে শহরে সিংকহোল বৃদ্ধির কারণ। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সিংক’হোল তৈরি হয় যু’ক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। এর পরের অবস্থানেই তুর’স্কের কোনিয়া। মাত্র এক বছরেই দ্বিগুণ হয়েছে দেশটির দানবগর্ত। চলতি বছরই স’ন্ধান মিলেছে ৬ শতাধিক সিংকহোলের। চীন আর রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলেও বিশালাকার গর্ত আছে বেশ কিছু। জানা গেছে, একে’ক এলাকায় সিংকহোলের আকার বা গভীরতা একে’ক রকম। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সিংকহোলের সন্ধান পাওয়া গেছে সাইবে’রিয়ায়। সেখানে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে এমন দান’বগর্ত। সঙ্গগৃহীত SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: