আবাদচন্ডীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৫ দিন অনুপস্থিত,পালিত হচ্ছে না জাতীয় দিবস

প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২

এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার আবাদচন্ডীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারাফ হোসেন ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় ১৪ ডিসেম্বর স্কুলে শহীদ প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয় নি। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অবহেলা করায় স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন সহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পেেড়ছে। এঘটনায় নির্বাচিত অভিভাবক ২ জন্য সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছেন। এলাকার সুধীজন ও নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যরা জানান, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত ৪ ডিসেম্বর অত্র স্কুলে সাধারন অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে ১১ জন পুরুষ সদস্য ও ২ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রতিদ্বন্দিতা করেন। ভোটার সংখ্যা ছিলো ২৮২ জন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মাদ তেজারত ও পোলিং অফিসার তার অফিসের ২ জন সদস্য। উক্ত নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হন নুরুজ্জামান, আবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন কাজল, আব্দুল গণি ও রোজিনা আক্তার। এর পর ৭ কার্য দিবসে সভাপতি পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দিতা করেন আজিজুল হক ও শামছুজ্জোহা মোল্যা। ভোটার সংখ্যা ছিলো অভিভাবক সদস্য ৫ জন, দাতা সদস্য ১ জন ও শিক্ষক প্রতিনিধি ৩ জন মোট ৯ জন। উক্ত ভোটে আজিজুল হক ৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। শামছুজ্জোহা পান ৪ ভোট। ওই দিন রেজুলেশন খাতা আনার নাম করে প্রধান শিক্ষক পালিয়ে যায়। এর পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া পালিয়ে রয়েছেন। নির্বাচিত অভিভাবক আরও সদস্যরা জানান অভিভবাক সদস্য ১৩ জনের প্রত্যেকের নিকট থেকে ২৪০০ টাকা করে মোট ৩১ হাজার ২০০ ও সভাপতি প্রার্থী ২ জনের নিকট থেকে ২০ হাজার মোট ৫১ হাজার ২০০ টাক প্রধান শিক্ষক নির্বাচনের খরচ বাবদ কালেকশন করেন। এঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মাদ তেজারত মহোদয়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিভাবক সদস্য সভাপতি পদে স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এসময় কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। তবে গত ১২ ডিসেম্বর পরাজিত অভিভাবক সদস্যা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। তিনি আমাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন বলেন আমার নিকট যে অভিযোগ করেছে আমি উহার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে নির্দেশ দিয়েছি।