আমড়াখালী আ.লীগ- বিএনপি দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ৯:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২২

মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বেনাপোল পোর্টথানাধীন আমড়াখালী গ্রাম এলাকায় আ.লীগ-বিএনপি দু’গ্রুপের সংঘর্ষে প্রায় ২০-২৫ জন আহত তবে এদের মধ্যে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আ.লীগ সমর্থনকারী আহত বেনাপোল ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক- সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এবং আহত সুরুজ মিয়া নামের এই ২ জন কে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বিএনপি সমর্থনকারী রওশন আলী (৪০) নামের ১ জন কে যশোর সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।

বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ঐ এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে, তবে সেখানে থমথমে ভাব বিরাজ করছে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে দেখা যায় লোকজন দেশীয় অস্থ সহ রাস্তার পাশেই অবস্থান করছেন।

আহত রওশন আলী পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ঈদুল আযহার পরের দিন অর্থাৎ সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আমড়াখালী এক এলাকায় বসবাসীকারী আ.লীগের ৪-৫ জন আমড়াখালীর অপর এলাকায় বসবাসকারী বিএনপি সমর্থনকারী রওশন আলী কে বাড়ী থেকে ডেকে পাশের একটি মাঠে নিয়ে যায়, সেখানে আ.লীগের ঐ সদস্যদের হাতে থাকা গাছি দা দিয়ে রওশন আলীর মাথায় এলোপাতাড়ীভাবে আঘাৎ করতে থাকে, এতে করে রওশন চিৎকার দিতে দিতে অজ্ঞাণ হয়ে পড়ে, রওশনের চিৎকার শুনে ঐ এলাকার বিএনপি সমর্থনকারীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং রওশনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের ফলে রওশন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে,শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত আ.লীগ সমর্থনকারী আমড়াখালী এলাকার মাতবর আহত দুইজন সিরাজুল ইসলাম এবং সুরুজ মিয়া জানিয়েছে, “আহত রওশন আলীর সুচিকিৎসার জন্য আমড়াখালী এলাকায় বসবাসকারী আ.লীগ সমর্থিতরা ১২ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা’র দিকে আমড়াখালী পাঞ্চাখানা মসজিদ এলাকায় বৈঠকের আয়োজন করে, ঈদের পরের দিন অত্র এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং এর একটি সুষ্ঠ সমাধানের লক্ষ্যে সেখানে একটি আলোচনা শুরু হয়, কিন্তু আলোচনা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় আমড়াখালীর অপর প্রান্তে বসবাসকারী বিএনপি সমর্থিত ঐ এলাকার চিহ্নিত মাদক পাচারকারী বাবু’র নেতৃত্বে প্রায় ৫০-৬০ জন বিএনপি’র সন্ত্রাসী বাহিনী আলোচনা স্থলে অতর্কিতে হামলা চালায়, তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র এবং লাঠি-শোঠা দিয়ে বৈঠকে উপস্থিত আ.লীগ নেতৃবৃন্দ সহ আমাদের দু’জনকে এলোপাতাড়ী আঘাৎ করে, এতে করে আমরা মারাত্মক ভাবে জখম হয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছি।

পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া মুঠোফোনে জানিয়েছেন, ঐ এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেখানে পুলিশের কড়া নজরদারী রয়েছে, তবে দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ নামা পাওয়া গেছে,তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা বলে তিনি জানিয়েছেন।