ইবনে সিনার ডেডিকেটেড স্ট্রোক ইউনিট

প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২০

প্রফেসর আবদুল হাই স্যার একজন চিকিৎসক যিনি ইবনে সিনা স্পেশালাইজড হাসপাতাল,ঢাকায় নিরলস চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন (যেখানে ১-২ জন চিকিৎসক ছাড়া সবার চেম্বার বন্ধ)। আমার জানা মতে, যিনি বাংলাদেশে কোন প্রাইভেট হাসপাতালে প্রথম স্ট্রোক ইউনিট নামে একটি ইউনিট তৈরি করেন যেটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং স্যার ব্রেনের এনজিওগ্রাম ,স্টেন্টিং,কয়েলিং জগতের পথিকৃৎ। তার চেম্বার,হাসপাতালে রাউন্ড সব পূর্বের মত চলছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে পরিশ্রম করে ওনি সারা জীবন যা ইনকাম করেছেন এখন যদি ওনি আর কিছু না ও করেন আল্লাহর রহমতে ভালভাবে চলতে পারবেন। একদিন রাউন্ডে স্যারকে জিজ্ঞেস করলাম স্যার চেম্বারটা বন্ধ রাখতে পারেন, স্যার বললেন লাভ কী? হসপিটাল এ রাউন্ড এ তো আসতে হচ্ছে ,তখন স্যার কে বল্লাম তাহলে স্যার হাসপাতাল এ আসা ও বন্ধ রাখেন। স্যার বল্লেন রোগী গুলো যাবে কোথায় বল?মাহবুব ভাইকে( স্যার এর ছায়া) জিজ্ঞেস করলাম স্যারের চেম্বারে রোগী কেমন হয়? বলল ১০-১৫টা।চিন্তা করলাম আজকে আমার পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তখন আমি কি করব? অনেকে স্যার কে অনেক কিছু বলত ( বেশী রোগী বা অনেক রাত করে রোগী দেখার জন্য),তাঁরা ও এখন স্যারকে খোজে। এ রোগী দেখার জন্য কারো কাছে স্যার বাধ্য ও নন। কিন্তু ৬১প্লাস বছর বয়সে ও দেশের এই মহামারী সময়ে স্যার উনার নিজের দায়িত্ববোধ থেকে নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন( স্যার নিজে PPE পরেন এবং আমাদের ও PPE এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন)। স্যালুট স্যারকে-একজন মেডিকেল অফিসার হিসেবে স্যারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোয়া রইল। আমার মনে হয় স্যার করোনা যুদ্ধে আমাদের চিকিৎসক সমাজের কাছে একটি অনুকরীয় দৃষ্টান্ত।
-ডাঃ শাহজালাল রিয়াদ।