একাউন্ট না খোলার গল্প News Publisher News Publisher প্রকাশিত: ১:২৪ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২১ ফ্রেন্ড একাউন্ট খুলবে। একসাথে গেলাম EBL সাভার ব্রাঞ্চ এ। যেটা বুঝলাম বাংলার শেষ নবাব সিরাজ উদ্দৌলা এর নাতি নাতনীরা এখানে চাকরি করে সব। যাই হোক, প্রথমে বলে নিচের ফ্লোর এ। সেখানকার লোক বলে উপরে যান। উপরে গেলাম। বললাম একাউন্ট খুলব। শুনে মনে হল লোকের চক্ষু ছানাবড়া। একাউন্ট খুলবে!!!! যাই হোক, বলে একাউন্ট কেন খুলবেন ইত্যাদি। বলা হল জেনারেল ব্যাংকিং এর জন্য আর পরে স্টুডেন্ট ফাইল করব তাদের ব্যাংক থেকে। এরপর শুরু হল লোকের বিভিন্ন রকম কথা। এই ব্রাঞ্চে কেন খোলা লাগবে! কেন ধানমন্ডি, দিলকুশায়, বনানীতে খুলি না। বললাম বাসা এখানে, তাই এখানে। বলে না, যেহেতু পরে লাগবে, ওই ব্রাঞ্চ এ যান। এখানে খুললে লাভ হবে না 😂 (CC তে একটা কল দিব ভাবতেছিলাম)। সাথে আরো অনেক কথা শুনালো যে একাউন্ট খোলার ই দরকার নাই স্টুডেন্ট ফাইল এর জন্য। তারপর, আমি বললাম ভাই এত কথা বাদ দেন। খুলতে চেয়েছে খুলে দেন। এদিকে ফ্রেন্ড জব ছেড়েছে কয়দিন আগে। সো সোর্স অফ ইনকাম নিয়েও সমস্যা। বললাম Insta একাউন্ট করেন (অনলাইন এ করা হয় নাই যেহেতু ব্রাঞ্চ এ যাওয়াই লাগবে)। তাতেও নাকি সোর্স অফ ইনকাম লাগবে। বললাম Insta একাউন্ট এ তো লাগে না। তবুও লোক মনঃপুত না। গ্রুপে কে একজন পোস্ট দিয়েছিল যে নিজের না থাকলে বাবার টা থাকলে হবে ইনকাম সোর্স। টা দিতে চাইলেও লোক বলে, না হবে না। যাই হোক, বুঝা গেল একাউন্ট খুললে যে লোকটার কত কষ্ট হত। আবার বলে রুলস বলে BB এর ওদের না। এত কথা শুনার পর বললাম থাক একাউন্ট লাগবে না। সে মনে হয় হাফ ছেড়ে বাঁচলো যে পারছে, একাউন্ট না খুলানোতে সে সফল। পরে City তে এখনি এপস দিয়ে একাউন্ট খুলে কার্ড নিয়ে বন্ধু বাসায় চলে গেল ঝামেলা ছাড়া। যাই হোক, EBL সাভার ব্রাঞ্চ অথবা EBL আর যাওয়ার ইচ্ছা নাই। এদের থেকে সাভার এর ডাব্বা, হালাল ব্যাংক এও কাস্টমার সার্ভিস ভাল। – মিশকাত রহমান SHARES মতামত বিষয়: