এবার কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁঠাল

প্রকাশিত: ১০:২৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২১

 

তরমুজ নিয়ে যখন পুরো দেশে একটা হযবরল কান্ড, তখন শেরপুরে কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের খরমপুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। যেখানে ছোট ছোট কাঠাঁল প্রতি পিছ দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং বড় কাঠাঁল গুলো কেজি ১৫০ টাকা।

কাঠাঁল বিক্রেতা আনার আলী জানান, শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়নখোলা থেকে দুই চালানে ৫০ টি কাঠাঁল এনেছিলাম। এ পর্যন্ত ৪৩ টি কাঠাঁল কেজি দরে বিক্রি করেছি। আর মাত্র ৭ টা কাঠাঁল আছে।

দাম বেশী চাওয়ার প্রশ্নে কাঠাঁল বিক্রেতা বলেন, ভাই আমগো কি দোষ। পাবলিক বেশী দামে কিনতাছে, আর না কিনে কই যাবো এই সময়ে কাঠাঁল পাব কই?

কাঠাঁল কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, আমরা মধ্যবিত্তরা তরমুজ, কাঁঠাল না খেয়েই এবারের বছর পার করবো। কারন যে দাম চাওয়া হচ্ছে, এটাতে আমাদের কেনার সাধ্যে নেই।

তিনি আরও বলেন, শেরপুর প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন শেরপুরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কারণ তরমুজের মত কাঠাঁল বিক্রিও এখন সিন্ডিকেটে চলে গেছে।

আরেক বয়োবৃদ্ধ ক্রেতা  বলেন, বাবা ৭০ বছরের জিন্দেগিতে কখনো কাঠাঁল কেজি দরে বিক্রি করতে দেখি নাই। আমরা নিন্মআয়ের মানুষেরা শুধু চোঁখে দেখেই তুপ্তি মেটাবো, কারণ এত দামে কিনে খাওয়ার তো ক্ষমতা নাই।

ভোক্তা সংরক্ষন অধিদফতরের শেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম বলেন, এরকম কাজ মোটেও ঠিক নয়। শেরপুর, জামালপুর দুই জেলার দায়ীত্বে আছি। তাই সপ্তাহে দুই দিন আমি শেরপুর অফিস করি। তা নাহলে আজকেই জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে আমরা শহরে অভিযান পরিচালনা করতাম। তবুও যেহেতু আজকে বিষয়টি জানলাম, আগামীকাল অবশ্যই শেরপুর শহরে অভিযান করা হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক উপ সচিব (ডিডিএলজি) বলেন, ভোক্তা অধিকারের যে কোন প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন সহযোগীতা করবে। দরকার হলে একজন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।