করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যেভাবে পেতে পারেন জিংক সমৃদ্ধ খাবার! News Publisher News Publisher প্রকাশিত: ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০ করোনাভাইরাস এর এখনো কোন কার্যকরী প্রতিষেধক বা ঔষধ আবিষ্কার হয় নি। তাই শুরু থেকেই বিজ্ঞানীরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ওপর জোর দিয়েছিলেন। সংক্রমণের এ সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এ ক্ষেত্রে ভিটামিন সি ও ডির মতো জিঙ্কও বেশ কার্যকর। ‘আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’-এর গাইডলাইন অনুযায়ী, ১৪ বছরের বেশি বয়সী ছেলে ও গর্ভবতী নারীদের দিনে ১১ মিলি গ্রাম জিঙ্ক, মেয়েদের ৮ মিলি গ্রাম এবং বুকের দুধ পান করানো মায়েদের ১২ মিলি গ্রাম জিঙ্ক খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিঙ্কের অভাবে কোষের কার্যকারিতা কমে, প্রোটিন তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটে। এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যেসব খাবারে জিঙ্ক পাবেন- মুরগির মাংস প্রতি ৮৫ গ্রাম মুরগির মাংসে ২ দশমিক ৪ মিলি গ্রাম জিঙ্ক পাবেন। জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে নিয়মিত মুরগির মাংস খেতে পারেন। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। চিংড়ি মাছ চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক। জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে খান চিংড়ি মাছ। সব ধরনের ডাল জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে খেতে পারেন সব ধরনের ডাল। ছোলা, বিন, মটরশুঁটি জিঙ্কের ভালো উৎস। ৫০ গ্রাম মসুর ডাল খেলে ২ দশমিক ৪ মিলি গ্রাম জিঙ্ক পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৮০ গ্রাম ছোলায় ১ দশমিক ২৫ মিলি গ্রাম জিঙ্ক থাকে। ওটস সকালের নাস্তায় খেতে পারেন ওটস। আধবাটি ওটস থেকে ১ দশমিক ৩ মিলি গ্রাম জিঙ্ক পাওয়া যাবে। বাদামি চাল বাদামি চাল, হোল হুইট ব্রেড বা ঘরোয়া আটার রুটিও জিঙ্কের বড় উৎস। বাদাম ও বীজ বাদাম ও বীজ খেতে পারেন। ২৮ গ্রাম কাজু আর কুমড়ার বীজে যথাক্রমে ১ দশমিক ৬ মিলি গ্রাম ও ২ দশমিক ২ মিলি গ্রাম জিঙ্ক আছে। মাশরুম খেতে পারেন মাশরুম। লো-ক্যালোরির এই সবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্কও আছে। প্রতি ২১০ গ্রামে ১ দশমিক ২ মিলি গ্রাম জিঙ্ক থাকে। পালংশাক, ব্রকলি ও রসুন জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে পালংশাক, ব্রকলি ও রসুন খেতে পারেন। SHARES লাইফস্টাইল বিষয়: