করোনার আঘাতে বিপর্যস্ত দেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাত News Publisher News Publisher প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২০ দেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাত করোনার আঘাতে বিপর্যস্ত। টিকে থাকতে আসছে বাজেটে আগামী তিন বছরের জন্য বিমানবন্দরের সব ধরনের চার্জ মওকুফ ও অ্যারোনটিক্যাল চার্জ কমানোর দাবি এয়ারলাইন্সগুলোর। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী হওয়ায় জেট ফুয়েলের দাম কমানোরও আহ্বান তাদের। আর হোটেল ও পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে কর অবকাশ সুবিধা ও কম সুদে ঋণ চান সংশ্লিষ্টরা। করোনা মহামারির কারণে টানা আড়াই মাস বন্ধ থাকায় পর অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে ফ্লাইট। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ৩৫ দফা নির্দেশনায় বেড়েছে খরচ। যদিও যাত্রী খরায় কমে গেছে আয়। বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুও অনিশ্চিত। টিকে থাকতে আসছে বাজেটে শুধু অভ্যন্তরীণ নয়, আন্তর্জাতিক রুটেও কমপক্ষে তিন বছরের জন্য সব এভিয়েশন চার্জ মওকুফ ও কর ছাড় চায় বিমান সংস্থাগুলো। বিমান ভাড়া সহনীয় রাখতে জেট ফুয়েলের দাম সমন্বয়ের দাবি তাদের। রিজেন্ট এয়ারের উপদেষ্টা আশীষ রায় চৌধুরী বলেন, সরকারের কাছে চাচ্ছি যে, ল্যান্ডিং ও পার্কিং চার্জ ওনারা যে ডিসেম্বর পর্যন্ত দিয়েছেন ওটা অন্তত তিন বছরের জন্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেটা করা দররকার। করোনার কারণে বছরের শুরু ও ঈদের পুরো ব্যবসা হারিয়েছে দেশীয় হোটেল, মোটেল ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটরা। জুন পর্যন্ত পাঁচ মাসে পর্যটন খাতে ক্ষতি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থায় কর্মীদের বেতন ও প্রতিঠান চালাতে বাজেটে থোক বরাদ্দ চান তারা। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সহ-সভাপতি তৌফিক রহমান বলেন, এক থেকে দুই শতাংশ সুদে যদি লোনের ব্যবস্থা করা যায় বা এবার বাজেটে যদি একটা থোক বরাদ্দ দেয়া যায় তাহল দেশের এই শিল্প বেঁচে যেতে পারে। দেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতকে বাঁচাতে বিমান সংস্থাগুলোর বিভিন্ন সেবার ওপর কর ছাড়, জরিমানা কমানো এবং হোটেল-মোটেল গুলোকে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া জরুরি বলে মনে করেন এ বিশ্লেষক। বর্তমানে দেশের বিমান পরিবহন ব্যবসার ৭০ ভাগ বিদেশি এয়ারলাইন্সের দখলে। SHARES পর্যটন বিষয়: