করোনা কালীন ৩৩৩ সহয়তা সাড়া না পেলেও আফসারের পাশে তালা উপজেলা প্রশাসন

প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২১


বি এম বাবলুর রহমান (তালা- সাতক্ষীরা)

কঠোর বিধি নিষেধ বাইরে বের হলে গুনতে হচ্ছে জরিমানা। অনাহারে থাকা ভাংড়ী ব্যাবসায়ী সরকারী সহায়তা হটলাইন ৩৩৩ বারংবার ফোনে নেই কোন সাড়া। বঞ্চিত আফসার কে নিজ উদ্যোগে সহায়তা প্রদান করলেন উপজেলা পি আইও তালা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ।

বৃহস্পতিবার ( ৫ ই আগষ্ট) সকালে সহয়তা প্রাপনের ৩৩৩ থেকে সাড়া না পাওয়া ভাংড়ী ব্যাবসায়ী আফসার গাজী ও তার সহধর্মিণী কে অফিসে ডেকে নিয়ে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তালা।

সূত্র মতে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ভাংড়ির ব্যাবসায়ী আফসার গাজীর কোন উপার্জন না থাকায় ভাংড়ী ব্যাবসা কাজে ব্যাবহৃত ভ্যান গাড়ি টি বিক্রি করে স্ত্রী সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলেন। এখন কোন খাবার নেই অনাহারে থাকা ভাংড়ী ব্যাবসায়ী সরকারী সহায়তা হটলাইন ৩৩৩ নাম্বারে টানা ১০ দিন ফোন দিয়েও পায়নি কোন সাড়া। ঠিক সেই সময় সাতক্ষীরা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মানবতার প্রতিক বিজয় টেলিভিশন ও ঢাকা পোষ্ট এর সাংবাদিক এস এম আকরামুল ইসলামের নিজের ফেইসবুকে সাড়া না পাওয়া ৩৩৩ নাম্বারে ফোন সহ বাস্তবতাটি ভিডিও আকারে পোস্ট করেন।মূহুর্তে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়াই পর দিন পি আই ও তালা মোঃ ওবায়দুল হক আফসার গাজীর বাড়িতে সহয়তা নিয়ে যান। তারি ধারাবাহিকতায় মমতাময়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার অসহায় পরিবারের পাশে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন।
মোঃ আফসার উদ্দীন সংবাদকর্মীদের জানান, করোনার সময়ে সকল আয় বন্ধ ফেরিও করতে পারি না। বাড়িতে কোন খাবার না থাকায় টানা ১০দিন সহয়তা পাবার আশায় ৩৩৩ নম্বরে কল দিয়েও কোন সাড়া পায়নি ।তিনি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এর এলাকায় লোক বলে গত ঈদে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১০কেজি চাউল প্রদান করেও পুনরায় ফেরৎ দিয়েছিলো। করোনা কালীন সরকারী কোন সহয়তা পাইনি তিনি। এই প্রথম পি আই ও এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তালা মারফত খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান। বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন উপজেলায় মাঝিয়াড়া গ্রামে আফসার গাজীর বাড়িতে কোন খাবার নাই ।গতকাল উপজেলা প্রশাসন থেকে কিছু খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন। তিনি নিজ উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন।