কুষ্টিয়ায় সরকারি খাস জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২৯, ২০২০

কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।

কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের বটতলা এলাকার সরকারি খাস জমি দখল করে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি অনিবন্ধিত সংগঠন দীর্ঘদিন সরকারি খাস জমি দখলসহ ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর দখলদারিত্বের চেষ্টায় গতকাল সকালে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সংঘর্ষ হয় ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আহত হয় বলে জানা যায়। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় উভয় পক্ষ পৃথক পৃথক দুইটি এজাহার দায়ের করেছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে ।
১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন উদ্দিন বলেন, বটতলা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি খাস জমি দখল করে স্থানীয় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন গড়ে উঠেছে। এই সংগঠন বর্তমানে সরকারি জমির বাইরে এলাকার নিরীহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের নিজস্ব সম্পদের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে জানা যাচ্ছে, গতকাল এই সংগঠনের নেতা মারফত ইন্তাজ তাদের লোকবল নিয়ে শ্রমিক কল্যাণ অফিসের পাশে এক পুলিশ অফিসারের বাসার সামনের জায়গা দখলের চেষ্টা করে।
এই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম মালিথা ও যুবলীগের সভাপতি তাদের নিষেধ করলে মারফত ইন্তাজ তাদের দলবল নিয়ে হামলা চালায় এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুম মালিথা ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের কর্মী ইউনুস আলী মারাত্মকভাবে আহত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জুগিয়া এলাকায় ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে মারফত আহাম্মেদ সোহেল রানা সাজু জুগিয়া বটতলা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি খাস জমি মসজিদের মালিকানাধীন জায়গা সহ ব্যক্তিগত জমি দখল করে তা ভোগ করে আসছে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মারফত তার বাহিনী নিয়ে কুষ্টিয়ার দাদাপুর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর নামে গভীর রাত ধরে চাঁদাবাজি করে আসছিল। বর্তমানে কুষ্টিয়া সুযোগ্য পুলিশ সুপার এর পদক্ষেপে মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ থাকায় মারফত ও তার লোকজন এলাকায় সাধারণ মানুষ এর উপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন সহ সরকারি জমি দখল করে দোকানপাটসহ অফিস কার্যালয় করে ভাড়া দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় এলাকার এক ভুক্তভোগী। কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও যুবলীগের সভাপতি জিয়াকে সরজমিনে পাঠালে তাদেরকে মারফত বাহিনী হামলা চালায় এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কারণে এখনো বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি তিনি আরো বলেন, এই সকল কাজের সাথে মারফত ইন্তাজ সোহেল সাজু স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন এর নাম ব্যবহার করে এবং তার নেতৃত্বে এই দখলদারিত্ব চালিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে জুগিয়া বটতলা এলাকায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে ভুয়া ভুঁইফোড় সংগঠন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে এলাকায় চাঁদাবাজি মাদক ও সরকারি জমি রক্ষা পাবে বলে আমি মনে করি। সেই সাথে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মারফত সাজু সোহেলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনলে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।