কৃষিবিজ্ঞানীর ভেষজ উদ্ভিদে করোনা চিকিৎসায় সাফল্যের দাবি

প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২১

প্রাণঘাতি মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে সারা বিশ্ব যখন টালমাটাল ঠিক এমনি একটি সময়ে এই রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ভেষজ উদ্ভিদের সন্ধান দিয়েছেন কৃষিবিজ্ঞানী ড. মো. এনায়েত আলী প্রামাণিক। তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বরেন্দ্র কেন্দ্রে কর্মরত ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দাবি করছেন, কোভিড-১৯ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় একটি ভেষজ উদ্ভিদের পাতার রস ব্যবহার করে তিনি অভূতপূর্ব সফলতা পেয়েছেন। এই পাতার রস অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। বিশেষ করে কোভিড-১৯ জনিত নিউমোনিয়া নিরাময়ে এই পাতার জুড়ি নেই।

ড. প্রামাণিক E. nerifolia উদ্ভিদের পাতার রসের কার্যকারীতা সম্পর্কে বলেন, করোনাভাইরাসের ‘এস’ প্রোটিন ফুসফুসের কোষের এনজিওটেনসিং হিউমান কনভার্টিং এনজাইম রিসেপটর-২ এর মাধ্যমে ভি-ফিউশন পদ্ধতিতে কোষে প্রবেশ করে।

তিনি জানান, এ অবস্থায় আক্রান্ত রোগী যদি E. nerifolia এর পাতার রস খাওয়া শুরু করেন, তাহলে এটি প্রত্যক্ষভাবে ভাইরাল প্রোটিন সিনথেসিসে বাধা প্রদান করে। এই উদ্ভিদে রয়েছে প্রায় ২৩ প্রকারের ডাই-টারফিনয়েড এবং এক ধরনের গ্লাইকোসাইড।

গবেষণায় দেখা গেছে, এর কিছু টারফিনয়েড HIV NL4 ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোষের প্রতিকারে সাফল্যজনকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রায় ২৭টি রিকাম্বিন্যান্ট আর এনএ থাকার কারণে প্রতিনিয়ত এর প্রতিটি ষ্ট্রেইন মিউটেশনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুস অতি দ্রুত নিউমোনিয়া দ্বারা আক্তান্ত হয় এবং ফুসফুসের ভেতর দিয়ে যে রক্তকণিকা প্রবাহিত হয়, তা জমাট বাঁধার মাধ্যমে ক্ষুদ্র দলার সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করে হঠাৎ স্ট্রোক ঘটায়। যার ফলে দ্রুত মানুষের মৃত্যু ঘটছে।