কেজি দরে তরমুজ বিক্রিতে নিন্মবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২১

মোঃ জাহিদ হাসান, ষ্ট্যাফ রিপোটারঃ 

তরমুজ পিস হিসাবে  ক্রয় করে কেজি দরে বিক্রয় করায়, নিন্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এই গ্রীষ্মকালীন ফল।

শুক্রবার সরোজমিনে বেনাপোল বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট বড় ৮ থেকে ১০ জন খুচড়া ব্যবসায়ি চার ধনরের তরমুজ বিক্রয় করছেন। দাম প্রকার ভেদে ৩৫/৪০ টাকা কেজি। তবে লকডাউনে ক্রেতা ও জনসাধারণের উপস্হিত কম থাকায় বিক্রি তুলনামূলক কম। তবে রোজার আগে তরমুজের দাম ছিলো ২৫/৩০ এখন সেটা ৩৫/৪০ টকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।

খুলনার পাইকারি বিক্রির আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, ভোররাত থেকেই আড়তগুলোতে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তরমুজ ট্রলার কিংবা ট্রাকে করে আসতে থাকে। ভোর থেকেই চলে বেচাকেনা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের ফলন এবং বাজার দুটোই ভালো। কৃষকরাও দাম পাচ্ছে তাদের চাহিদা অনুযায়ী এবং খুচরা বিক্রেতারা আড়ৎ থেকে নিয়মিতই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

তবে পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারের দামের বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা আড়তগুলো থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনলেও তা বাজারে উচ্চ দামে কেজি হিসেবে বিক্রি করছে। তারা প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকা দরে কিনে খুচরা বাজারে ক্রেতাদের কাছে প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

বেনাপোল বাজারে খুচরা বাজার থেকে তরমুজ কিনতে আসা ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এতো বছর যাবত তরমুজ কিনে আসছি কিন্তু কখনও কেজি দরে কিনিনি। গত বছর থেকে তরমুজ কিনতে গেলেই বলে কেজি হিসেবে নিতে হবে। যে কারণে কেজি প্রতি তারা ২/৩ টাকা কমিয়ে দিলেও দাম আগের থেকে অনেক বেশি পড়ে যায়। আর তরজুজ কেটে চেক করে দেওয়ার কথা বললেও দিচ্ছনা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর দাম একটু বেশিই নিচ্ছে’।

এদিকে বড় সাইজের তরমুজগুলো বিভিন্ন ছোট দোকানে গুলোতে কেটে ছোট ছোট খন্ড করেও বিক্রি করা হয়।

বেনাপোল বাজারের খুচরা বিক্রেতা মশিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রতি কেজি তরমুজ কিনতে এবং নিয়ে আসা পর্যন্ত খরচসহ ২৫ টাকার বেশি পড়ে যায় আর আমরা এগুলো ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে তরমুজ বিক্রয় করে লাভ হচ্ছেনা এজন্য তরমুজ আর আনবো না।

পিস হিসেবে কিনে কেজি হিসেবে কেন বিক্রি করছেন এবং দামও বেশি নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বেনাপোল বাজারের খুচরা বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সব যায়গায়তেই এখন তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি হয়, আমরাও সাতক্ষীরা থেকে মণ দরে ক্রয় করি। আর তরমুজের দাম দোকান পর্যন্ত নিয়ে আসতে বেশ খরচ পরে যাই তাই সামান্য লাভ রেখেই ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি’।

বেনাপোল বাজার কমিটির সেক্রেটারি আলহাজ্ব বজলুর রহমান বলেন, তরমুজ কেজি দরে বক্রিয়ে সমস্যা না তবে কেজি প্রতি দাম বেশি হওয়ায় একটি তরমুজের দাম অনেক টাকা পরে যাচ্ছে। তবে দাম বেশি কি কম নিচ্ছে সেটা বুঝতে গেলে ক্রয়কৃত স্থান থেকে বেনাপোল বাজার পর্যন্ত সমস্ত খরচ হিসাবের পরই বোঝা যাবে। তবে এ হিসাব খতিয়ে দেখা জরুরী বলে আমি নিজেও বোধ করছি।