খাগড়াছড়িতে কোভিড-১৯ গণটিকার প্রথম দিনে অসংখ্য মানুষের ভিড়

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২১

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা(জ্যাক)খাগড়াছড়ি:

সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের করোনা ভাইরাসের কোভিড-১৯ প্রতিরোধে গণটিকা দান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

শনিবার (৭আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে একযোগে এ গণটিকা দান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে। এতে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদান কর্মী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন । টিকা নিতে প্রতিটি কেন্দ্রেই মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরিস্থিতি সামলাতে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রেড-ক্রিসেন্টের সদস্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের পৌর ১নং ওয়ার্ডের খবং পড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিকাকেন্দ্রে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন।এর পর খাগড়াছড়ি শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও একই পরিস্থিতি দেখতে পায়,অনেকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে দাড়িয়ে আছেন।তারা সকলেই টিকা নিতে আসছেন।

এসময় তাদের সবার হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড। যুবক থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের ২৫ বছরের উর্ধ্বে নারী-পুরুষ সকলেই এসেছেন টিকা নিতে। খাগড়াছড়ি সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) উইলিয়াম ত্রিপুরা (কেন্দ্রীয় ইনচার্জ)হিসেবে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাজ করছেন,তার নির্দেশনায় লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করছেন।

উল্লেখ্য, গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার সম্প্রসারিত আকারে শনিবার দেশব্যাপী ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৭ই আগস্ট ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে আমরা টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে যাচ্ছি। শনিবার দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হবে। ৮ ও ৯ আগস্ট ইউনিয়ন ও পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে এবং ৭ থেকে ৯ আগস্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি চলবে। দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৮ ও ৯ আগস্ট ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম চালু থাকবে।

এদিকে করোনার টিকা দেওয়া নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রসারিত আকারে বিভিন্ন রকম তথ্য দেওয়া হয়েছিল। ১লা আগস্ট একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, ৭ থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত এই ৭ দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের মানুষকে অন্তত ১ কোটি টিকা দেয়া হবে। এর দুদিন পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, শনিবার এক দিনে ৩২ লাখের মতো টিকা দেয়া হবে।