জিলা স্কুল ও সরকারি বালিকায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে রেকর্ড পুলিশ লাইন স্কুলে শতভাগ পাস, প্রতিষ্ঠার পর যশোর শিক্ষা  বোর্ড স্কুলের সেরা ফল

প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিলা স্কুলসরকারি বালিকা বিদ্যালয় যশোরের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কুল দুটির বেশ সুনাম রয়েছে। এবারের মাধ্যমিকের ফলাফলে এখানকার অর্ধেকের বেশি পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে সার্বিক ফলাফল ভালো হলেও নামকরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটি শতভাগ পাস হয়নি। যশোরের অন্য সেরা স্কুলের মধ্যে পুলিশ লাইন স্কুল এবারও মাধ্যমিকের ফলাফলে পাসের সাফল্য দেখিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পাসের হার এবার শতভাগ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও ঈর্ষণীয়। এদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এণ্ড কলেজের রেজাল্টও অন্যবারের তুলনায় ভালো হয়েছে। এসব নামকরা বাদেও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও বরাবরের চেয়ে এবার ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। যশোর জিলা স্কুল স্কুলটি থেকে এবার ২৭৪ পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ২৭০ জন পাস করেছে। ৩ জন অকৃতকার্য ও ১ জনের রেজাল্ট স্থগিত রয়েছে। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ১৭৬। গতবার ছিল ১৫০। পাসের হার শতকরা ৯৯ শতাংশ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম গোলাম আজম বলেছেন, শতভাগ পাস নিশ্চিত না হলেও সার্বিক ফলাফল ভালো হয়েছে। জেলার মধ্যে স্কুলটির জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার সবার চেয়ে বেশি। এমনকি জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হারে বোর্ডের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবার এসএসসি পরীক্ষায় ২৬৬ জন অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৬ জন অকৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এবছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ১৪৭। গত বছর ছিল ১১৭। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক লাইলা শিরিন সুলতানা জানিয়েছেন, টেস্ট পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীদের সাথে স্কুলের যোগাযোগ কমে যায়। টেস্ট পরীক্ষার পরের তিন মাস শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় কোচিং করে থাকে। তখন কোনো ভুলভাবে পরিচালিত হয়ে কারো কারোর ফলাফল খারাপ হয়ে থাকতে পারে। পুলিশ লাইন স্কুল স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৯৩ জনের সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৩। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮২ শিক্ষার্থী। গতবারও এবারের মত পাসের হার ছিল শতভাগ। যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে এবার ১৩৬ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ১ জন অকৃতকার্য হয়েছে। বাদবাকি সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৭২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার ৯৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোস্তফা জানান, প্রতিষ্ঠার পর এবার সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমের পাশাপাশি অভিভাবকদের আন্তরিকতার কারণে এমন সাফল্য সম্ভব হয়েছে। ভালো ফলাফলের জন্য নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাড়তি ক্লাসও নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরি স্কুল স্কুলটি থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় ৮৫ জন অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৮৩ জন পাস করেছে। ২ জনের রেজাল্ট স্থগিত রয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ২৬। পাসের হার ৯৮ শতাংশ। প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর খান জানান, স্কুলের সভাপতি পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর নিয়মিত তদারকির কারণে রেজাল্ট উত্তরোত্তর ভালো হচ্ছে। সেইসাথে শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদানও ভালো ফলাফল অর্জনে ভূমিকা রাখছে। সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন স্কুলটি থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৬৫ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪জন। বাহাদুরপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় স্কুলটির ১২১ পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন। গতবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ৪। যশোর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় স্কুলটির ৪১ এসএসসি পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।