জিয়াউর রহমানের স্মরণে ১২ দিনের কর্মসূচি বিএনপির News Publisher News Publisher প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২০ করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভাসহ ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে (২৭ মে) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপি মহাসচিব উত্তরার নিজের বাসায় এই ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সের করেন। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— ৩০ মে সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় ঢাকায় শেরে বাংলানগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শুধু মাত্র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকাল সাড়ে তিনটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এবং ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত শহীদ জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডের ওপরে বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশের কয়েকজন বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বক্তব্য রাখবেন বলে জানান মহাসচিব। তিনি জানান, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভার বিষয়গুলো হচ্ছে, `স্বাধীনতা যুদ্ধ ও শহীদ জিয়া’, `গণতন্ত্র, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও বিএনপি’, `শহীদ জিয়া ও উৎপাদন-উন্নয়নের রাজনীতি’, `স্বনির্ভর বাংলাদেশ ও অর্থনৈতিক সংস্কার’, `শহীদ জিয়ার কৃষি বিপ্লব’, `নারীর ক্ষমতায় ও শিশু কল্যাণ’, `কর্মসংস্থান ও শ্রমিক কল্যাণ’, `শিক্ষা ও গণশিক্ষা’, `পল্লী বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ উন্নয়ন’, `স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ’, `শহীদ জিয়ার বিদেশ নীতি’ এবং `শহীদ জিয়ার যুব উন্নয়ন’। প্রতিবছর জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হলেও এবার প্রস্তুত করা খাদ্যের পরিবর্তে খাদ্যসামগ্রী, বস্ত্র বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এসব সামগ্রী বিতরণকালে কোনও মতেই কোনও সমাবেশ করা যাবে না— এটা আমরা জোর দিয়ে বলছি। কারণ, এখন এই বিধান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে যেটা বলা হয়েছে, এটা মেনে চলাটা আমাদের একটা দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, কোবিড-১৯ করোনাভাইরাসের কারণে আমরা কোনও সমাবেশের মধ্য দিয়ে কোনও জমায়েত করে প্রতিবছরের মতো দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী তা পালন করা সম্ভব হবে না। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোনও সমাবেশ বা জমায়েত না করে ভার্চুয়াল আলোচনা, ভার্চুয়াল মিটিং করে আমরা তাকে স্মরণ করবো।’ তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের একটা পরিচিত দিয়েছিলেন এবং তারা যে একটা স্বাধীন স্বয়ং সম্পূর্ণ জাতি, সেই স্বপ্ন তৈরি করেছিলেন। তিনি মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন অল্পসময়ের মধ্যে। আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাতে চাই যে, আসুন ৩০ মে এই মহান রাষ্ট্রনায়ককে স্মরণ করি এবং তিনি যে কাজগুলো করে যেতে পারেননি, সেই কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্যে আমরা বিএনপি একযোগে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করি।’ করোনাভাইরাসে বিশিষ্ট কয়েকজন নাগরিকসহ যারা মারা গেছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত এবং করোনা ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের আশু রোগমুক্তি কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব। SHARES রাজনীতি বিষয়: