তালায় মধ্যযুগীয় বর্বরতার স্বীকার শিক্ষানবিশ হাফেজ হুসাইন সরদার

প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২১

বি এম বাবলুর রহমান (তালা-সাতক্ষীরা)
তালা লক্ষনপুর দক্ষিণ পাড়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকের নির্যাতনের মোঃ হুসাইন সরদার ( ৮) মারাত্মক আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর আবার তিনি যদি হয় কোরআন শরীফ শিক্ষার শিক্ষক তাহলে তো কথাই নেই তার অবস্থান পিতার স্থানে। সেই শিক্ষক এর দ্বারা নির্দয় নির্মম নির্যাতন ও অত্যাচারের স্বীকার হয়ে শর্য্যাসাহি তালা উপজেলাধীন লক্ষণপুর গ্রামের মোঃ মনিরুল ইসলাম এর পুত্র মোঃ হুসাইন সরদার(৮) ।

ঘটনাটি ১৪ ডিসেম্বর বেলা ১২ ঘটিকার সময় এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের ২০১৫ সালে স্থপিত লক্ষণপুর দ:পাড়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহি বোলিং। প্রায় শতাধিক ছাত্র নিয়ে চলছে এই হাফিজিয়া মাদ্রাসা। কিন্তু উস্তাদ যদি হয় কসাই তাহলে কোমলমতি শিশুদের দশা হয় কেমন। ঐ গ্রামের মোঃ আবদুস সালাম সরদারের অভিযোগে ভিত্তিতে বেরিয়ে এলো চরম অমানুষিক নির্যাতন চিত্র। ঋতিমতো বাঁশের কুঞ্চি দিয়ে উস্তাদ হাতের জালা মিটিয়েছেন মোঃ হুসাইন সরদার কে পিটিয়ে। সংবাদকর্মী দের উপস্থিত দেখে শত শত নারী-পুরুষ হাজির কারো পুরাতন অভিযোগ,কারো প্রতিষ্ঠান রক্ষার্থে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।
কেউবা আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।এলাকায় সাধারণ মানুষ ও হুসাইন এর পিতা মনিরুল ইসলাম বিষয়টি আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন

মাদ্রাসা হুজুর (হাফেজ সাহেব) খুলনা জেলার, রুপসা থানার,নন্দনপুর গ্রামের মৃত আকবর আলি তালুকদারের পুত্র মোঃ আজিম উদ্দিন সংবাদকর্মী সাথে আলাপকালে তার এমন নির্দয় নির্মম নির্যাতন অত্যাচার এর কথার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি ভুল করেছেন, তিনি আরো জানান প্রতিটি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ছাত্র দের এমন ভাবে মারা হয়। এবং তার কাছে থাকা দুই টি বাঁশের কুঞ্চি দেখিয়ে বলেন এটা দিয়েই তিনি হুসাইন কে পিটিয়েছে।

মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সরদার ও সভাপতি মোঃ মোবারক আলী সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান তারা ছেলেটিকে দেখেছেন এবং তাদের পক্ষ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। এবং তারা এই বিষয়টা এখানেই শেষ করতে বলেন। ছাত্র ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও অত্যাচারের বিষয়ে বাংলাদেশের আইনের বিধিমালা কি আছে এবং শিক্ষকদের করণীয় সম্পর্কে অবহিত করলে তারা কোন জবাব দিতে পারিনি।