তালার মৃৎশিল্পি কল্পনা রাণী পাল সরকারী সহায়তা চান Admin Admin প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২২ বি এম বাবলুর রহমান তালা-সাতক্ষীরাঃ তালায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে দিন। উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বিক্রি হচ্ছে না তৈরি সামগ্রী। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে তালা উপজেলার জাতপুর, শিবপুর,ঘোনা, জেঠুয়া,জালালপুর এখানকার কুমোরপাড়ার সকল মৃৎ শিল্পীদের সকলেই পাল সম্প্রদায়। এদের মধ্যে শত শত পরিবার একমাত্র উপার্জন এই মাটির তৈরি সামগ্রী থেকে। এখন আর বিক্রি হয়না মাটির তৈরির কোন সামগ্রী। উৎপাদন খরচ তুলনায় বিক্রি হচ্ছে অনেক কম দামে। জানাগেছে দশটি মাটি ছোট পাত্র তৈরি করতে একশ টাকার মাটি , ত্রিশ টাকার রং,ও পোড়ানোর জন্য একশত টাকার কাঠের প্রয়োজন হয়। দশটি পাতার তৈরি করতে দুইশত ত্রিশ টাকা খরচ আর শিল্পীদের নিজেদের মুজুরী তো আছেই। প্রতিটা পাত্র বিক্রি হয় দশ থেকে বারো টাকার হিসেব করলে দেখা যাই কোন লাভ নেই মুজুরীটাও পায়না এখনকার পাল মশায় রা। সকলকে চাই কোন না কোন ভাবে সহয়তা। উৎপাদন খরচ চেয়ে বিক্রি হচ্ছে কম দামে। প্রায় অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে এই শিল্পের পরিবারের দিন। তালা উপজেলার আলাদীপুর গ্রামের কল্পনা রানি পাল জানান তার পরিবারের দুটি সন্তান সহ মোট চার জন সদস্য। প্রতিদিন তিন চার শত টাকা সংসার পরিচালনা করতে প্রয়োজন হয়। সে তুলনায় তাদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে না। মাটি, রং,কাঠ কিনে একটি তৈরি পাত্র বিক্রি করে কোন মুনাফা অর্জন হয় না। সবি লোকসান গুনতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন তাদের কোন জমি জমা নেই। অন্য কোন আয়ের উৎস নেই তিনি জানান সরকারী ভাবে সহয়তা প্রদান করলে তাঁরা বেঁচে থাকতে পারতেন এবং এই শিল্প টা বেঁচে থাকবে। SHARES লাইফস্টাইল বিষয়: