নবীগঞ্জে ময়লা-আবর্জনার স্তুপের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী, কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকায়

প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২২

নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

প্রথম শ্রেণীর খেতাব প্রাপ্ত নবীগঞ্জ পৌর শহর যেন এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে স্বাভাবিক সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পচাঁ দূর্গন্ধে ঘটছে বায়ু দূষণ, স্বাস্থ্য ঝূঁকিতে আছেন পৌরবাসী। শহরবাসীর অভিযোগ, নবীগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলা ও উদাসিনতার কারনে শহরের বিভিন্ন প্রাণকেন্দ্রে সুইপাররা ফেলে দিচ্ছে ময়লা আবর্জনা। যা দিনের পর দিন স্তুপ হিসেবে জমা থাকে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রী, বাজারের ব্যবসায়ী, পথচারী, বাসা বাড়ির লোকজন। এনিয়ে একাধিকবার পৌর কৃর্তপক্ষকে জানালে কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী জনগন। পৌর কৃর্তপক্ষের ভূমিকা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এ সমস্যা সমধানে পৌর মেয়রের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগীরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের ওসমানী রোড টেকাদিঘী মার্কেটের সামনে জে.কে স্কুল মার্কেট ও দারুল উলুম মাদ্রাসার মধ্যস্থানে খালি অংশে ও হাসপাতাল সড়কের সি.এন.জি.স্ট্যান্ড এর সামনে পরিত্যক্ত জায়গায় ময়লা আবর্জনা পচা বাসী খাবারের দুর্গন্ধ যুক্ত স্তপ। এর কারণে শহরের সুস্থ পরিবেশও বিনষ্ট হচ্ছে। সর্বত্র পচাঁ দূর্গন্ধের চিত্র। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা আবর্জনা নিয়ে এসে উপরোল্লেখিত স্থানে ফেলে চলে যায় পৌরসভার সুইপাররা।

পৌরবাসীর অভিযোগ, ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য পরিকল্পিত কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে এমনটি হচ্ছে। এনিয়ে পরিকল্পনার করা দরকার। তা না হলে শহর যেমন অপরিচ্ছন্ন হবে, তেমনি মানুষের শরীরেও নানা রোগ বাসা বাধঁবে। এদিকে, সুইপাররা ময়লা আবর্জনা ফেলে যাওয়ার পর টুকাই ও কুকুরের নাড়াচাড়ায় দুর্গন্ধ আরো চরম আকার ধারন করে। এছাড়া প্রায় সময় বিশেষ করে রাত্রে বেলা সকালে মানুষ হাটতে গেলে দেখা যায় কাক বিড়াল সহ শহরের টুকাইরা ময়লা আবর্জনা নাড়া-চাড়া করছে যার ফলে দুর্গন্ধ আরও চরমে পৌছে। যার ফলে সাধারন মানুষ নাকঢেকে শ্বাস বন্ধ করে ও যাতায়াত করতে হয়। অনেকেই দুর্গন্ধের কারনে বমি করতে দেখা গেছে। অনেক সময় শহরে বস-বাসরত বাসা বাড়ীর ও ব্যবসা প্রতিষ্টানের লোকজন পরিবেশ দুষনের কারনে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। জনস্বাস্থ্যের হুমকি মোকাবেলা ও পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে এসব ময়লা আবর্জনা অতি শীঘ্রই সরিয়ে ফেলতে পৌরকতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নবীগঞ্জ পৌরসভার সাধারন মানুষ।

এ ব্যাপারে জানতে নবীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জায়েদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উনাকে পাওয়া যায়নি।