নিজামপুরে নৌকার পক্ষে ভোট করায় কর্মীর উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২২


জাহিদ হাসানঃ

শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়ানের গোড়পাড়ায় নৌকার পক্ষে ভোট করায় মোস্তাক আহমেদ নামের এক কর্মীর উপর নির্বাচনে জয়ী বিদ্রোহী চেয়ারম্যানের সমার্থকেরা অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

১৩ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোড়পাড়া বাজারের চাউল পট্টিতে মোস্তাক আহমেদকে একা পেয়ে জয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী আয়ুব সরদার পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক তার সাথে গ্যানজাম বাধিয়ে মারধর করতে শুরু করে। সাথেসাথেই পাশে অবস্থানরত ইকরামুল, ইকবাল ও শাকিল সহ ৮/১০ জন বাঁশ, লাঠি ও রড সহ তার উপর অতর্কিত হামলা ও মারপিট শুরু করে। মারপিটের এক পর্যায়ে মোস্তাক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে গোড়পাড়া বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর অবস্থা গুরুত্বর দেখে তার আত্মীয়-স্বজন তাকে ঐ রাতেই শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মোস্তাক আহমেদ নিজামপুর ইউনিয়ানের ৩নং ওয়ার্ড কন্দপপুর গ্রামের মাাহাবুুর রহমানের ছেলে।

১৪ই জানুয়ারি শুক্রবার শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মোস্তাক আহমেদ আহত হয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় বেডে শুয়ে আছেন। তিনি বলেন, আমিও একজন আওয়ামীলীগের কর্মী। এবার ইউপি নির্বাচনে আমি একজন ইউ পি সদস্য প্রার্থী ছিলাম সাথে নৌকার পক্ষে ভোট করেছে। কিন্তু ভোটে আমি ও নৌকার পরাজয় হলে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন নানাভাবে আমাকে হুমকি ধামকি দিত। সর্বশেষ আমি যে ভাটায় চাকুরী করি সেখানের ম্যানেজারের সাথে একটা ঝামেলা হলে আমি মীমাংসা করে দেয়। তারই রেশ ধরে গতকাল গোড়পাড়া বাজারে আমাকে একা পেয়ে আয়ুব সরদার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ইকরামুল, ইকবাল, ইমরান, শাকিল সহ আরো কয়েকজন মিলে আমাকে বেধরক মারপিট করে।

আমি অসুস্থ হওয়ায় আমার বাবা থানায় হাজির হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি আজ নৌকার পক্ষে থাকায় আমার আজ এই দশা, আমি শার্শার রাজনৈতিক অভিভাবক ও প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

এবিষয়ে আয়ুব সরদারের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা। আমি তাকে কোন মারধর করিনি।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম খান বলেন, এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। আমরা তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেব।