নির্বাচনকে ঘিরে ঝিকরগাছায় রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২১

ঝিকরগাছা প্রতিনিধিঃ

ঝিকরগাছা শংকরপুরে রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু। প্রতীক বরাদ্দের দিনে দোকান ভাংচুর, হামলা সহ নানা সহিংসতার অভিযোগ।

১১ই নভেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৭ শে অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দর পর থেকেই শুরুর হয় ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহিংসতার খবর। এই সহিংসতা নির্বাচনী পরিবেশের ওপর কি প্রভাব ফেলছে, ভোটাররা কতটা উদ্বেগ বোধ করছেন – এসব প্রশ্ন নিয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলে শোনা গেল এরকমই কিছু উত্তর।

দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনী ঘোষনা প্রচারাভিযান শুরু হতে না হতেই – শংকরপুর ফেরিঘাট সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রার্থীদের মিছিল থেকে আক্রমণ করা হচ্ছে নিরহ মানুষের উপর,দোকান ভাংচুর- মারধরের ঘটনা ঘটেছে।যে ঘটনায় সরকার বিরোধী বিভিন্ন দলের বেশ কয়েক জন সিনিয়র রাজনৈতিক নেতাও এসব হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন।

উৎসবমুখর একটা নির্বাচনের যে আশা ভোটারদের ছিল – এসব হামলার খবরে কি ভোটাররা উদ্বিগ্ন ? কতটা নিরাপদ বোধ করছেন তারা এই পরিস্থিতিতে?

এবিষয়ে কয়েকজন বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ এখন নেই’, ‘শংকায় আছি, ভোট দিতে পারবো কিনা’, ‘আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি’, ‘প্রার্থীই যদি আহাত হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়!

জানতে কথা বলেছিলাম ইউনিয়ানের বেশ কয়েকজনের সাথে। শংকরপুর ইউনিয়নের বড়পোদাউলিয়া, খাটবাড়ীয়া, রাজবাড়ীয়া, উলাকোল,নায়ড়া, শংকরপুর,কুলবাড়ীয়া ও কুমরী খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে। এখানে সাধারণ ভোটারদের মনে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক জনের অভিযোগ প্রার্থী গোবিন্দ চ্যাটার্জি, আওয়ামীলীগের বর্হিস্কৃত নেতা শরিফুল, আদম ও সুদে খলিল নিজেই ভোটার দের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে। বিজয়ের পরে কি উপহার দিবেন তিনি এমনটাই এখন প্রস্ন সাধারন ভোটারদের।

উলাকোল বাজারে ফয়জুর মেম্বারের দোকানে বসাছিল কাছেম উদ্দিনের ছেলে ইমান আলী মাস্টার ও শিওরদাহ থেকে আসা দোকানে বসে থাকা ২ ক্রেতার উপর আক্রমণ করেন তারা।এসময় মাসুমের মুদি দোকান বন্ধের হুমকি দেয়। ইয়াতিম মেম্বারের বড় ছেলে ফারুক হোসেনের দোকানে হামলা করে দোকান ভাংচুর সহ বেধড়ক মারধর করা হয়।

এর পর ফেরিঘাট এসে কয়েকটি দোকান পাট বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। কুলবাড়ীয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মশিয়ারকে ১১ তারিখ পর্যন্ত বাজারে না উঠে বাড়ী থাকার হুমকি দিয়ে মারধর করা হয়।

ইউনিয়নের ২ নং ওর্য়াড শংকরপুর গ্রমের বাসিন্দা ভোটার মৃত বাবুর আলী মোড়লের ছেলে রিজাউল ইসলাম (রিজাফ) জানান,আমি প্রতিদিনের ন্যায় ছোটপোদাউলিয়া আমতলার খলিল ডাক্তারের দোকানে বসা ছিলাম। হঠাৎ নৌকা প্রতিকের প্রার্থী গোবিন্দ চন্দ্র চ্যাটার্জি তার দল বল নিয়ে আমার উপর রাগ আক্রান্ত অবস্থায় ধাক্কা-ধাক্কি, কিল-ঘুষি,এলোপাতাড়ী ভাবে মারতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আর কয়েকদিন পরেই নির্বাচন, তাই ভোটার হিসেবে নিজের ভোটটা দেয়ার উৎসাহ ছিল তার মধ্যে।

কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকেই যেভাবে প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে তার খবর দেখে তিনি বলছেন, তিনি আতঙ্কিত বোধ করছেন।

“এখন যে অবস্থা সেটাতে করে যেকোন সময় একটা নাশকতামূলক অবস্থা তৈরি হতে পারে। তাই ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি” -বলছেন এই নারী ভোটার।

সুমায়া ইয়াসমিন (ছদ্দ নাম) বলছিলেন – “রাজনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভাল না সেটা আমরা জানি এবং দেখতে পাচ্ছি। এই ক্ষেত্রে আমরা ভোট দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে পুরুষ অভিভাবক রয়েছে তারা সবসময় চায় যেন আমরা একটা নিরাপদ জায়গায় থাকি।