নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ভারত থেকে দেশে ফিরেছে ২৪৭৫ বাংলাদেশী; করোনা পজিটিভ ১৩

প্রকাশিত: ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মে ৯, ২০২১

করোনা সংক্রমণে বিপর্যস্ত ভারত। প্রতিদিন সংক্রমিত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এমন অবস্থায় ভারতীয় করোনা ধরণ যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকার ১৪ দিনের জন্য ভারত সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আরও ১৪ দিনের নিষেদাজ্ঞা জারি করা হয়ম ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন অনেক বাংলাদেশী বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে। নিষেধাজ্ঞার ১৪ তম(৮মে) দিন পর্যন্ত ভারত থেকে ফিরেছেন ২ হাজার ৪৭৫ জন বাংলাদেশী যাত্রী। এদের মধ্যে ১৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। আক্রান্তরা ভারতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হয়। করোনা পজিটিভ যাত্রীদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে রাখা হয়েছে। শনিবার (৮ মে) যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউছুফ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে চিকিৎসা শেষে ভারত ফেরত অসহায় যাত্রীদের ভোগান্তি ও অর্থ খরচ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলা প্রশাসনের করোনা প্রতিরোধ কমিটি। জটিল রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাসহ যানবাহন ও হোটেল খরচ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশনে দালাল শ্রেণির বহিরাগতদের প্রবেশ রোধেও জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। সকালে বেনাপোল বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও ইমিগ্রেশন ভবনে সাঁটানো যাত্রী সুবিধার এমন নোটিশ চোখে পড়ে। ভারত ফেরত এক যাত্রী জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি ও হয়রানি রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাতে অনেকটা তারা উপকৃত হবেন। চলমান ক্রান্তিকাল সময়ে এ নির্দেশনা বহাল রাখার আহ্বান জানান যাত্রীরা।

শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলীফ রেজা জানান, ভারত ফেরত যাত্রীরা যাতে কোনোভাবে দালাল শ্রেণির মানুষের দ্বারা হয়রানির শিকার না হন এ জন্য ইমিগ্রেশন ও বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন সতর্কবার্তা দিয়ে ব্যানার দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত যাত্রীদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে ও সাধারণ যাত্রীদের যশোর, খুলনা সাতক্ষীরার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল এবং জটিল রোগে আক্রান্তদের ১৪ দিন হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন খরচ গত বছর সরকার বহন করলেও এবার যাত্রীদের নিজেদের ব্যয় করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।