প্রথম শ্রেণীর নবীগঞ্জ পৌরসভায় বাড়েনি নাগরিক সুবিধা

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২২

নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নবীগঞ্জে প্রায় ৩২ হাজার পৌরবাসির নাগরিক সুবিধা বাড়েনি। বেড়েছে পৌর ট্যাক্স, আলো স্বল্পতা ও জন দুর্ভোগ।

প্রথম শেনীর পৌরসভার অনেক রাস্তার অবস্থা ভালো নেই। কোন কোন রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জন দূর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। আবার কোন কোন রাস্তায় মালবাহী ট্রাকের চাকা পুঁতে রাস্তা ব্লক হয়ে অন্যান্য যানবাহন ও মানুষ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, ১৯৯৭ সালে স্থাপিত নবীগঞ্জ পৌরসভা ২০০৫ ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণিতে ও ২০১৩ সালে ‘খ’ থেকে ‘ক’ (প্রথম) শ্রেণিতে উন্নিত হয়। প্রথম শ্রেণীর খেতাব প্রাপ্ত এ পৌরসভার আয়তন ৯ দশমিক ৭ কিলোমিটার।

পৌর এলাকায় রয়েছে ৩ টি হাটবাজার, একটি খসাই খানা, নেই পৌরসভার নিজস্ব ভবন, সুপেয় পানির গুনগত মান বাড়ানো হয়নি।

উপজেলা পরিষদের প্রায় ২০ শতাংশ জায়গার একতলা জরাজীর্ণ ভবনের সাতটি কক্ষ নিয়ে চলছে পৌরসভার কার্যক্রম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবীগঞ্জ পৌরসভার এক বাসিন্দা জানান, উপজেলা রোডে প্রায় মাসাধিক কাল থেকে রড লাইট জ্বলেনা। সন্ধ্যার পর থেকে ভুতুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক জ্যামের পাশাপাশি বাজারে দিনের বেলায় ট্রাক থেকে মালামাল আনলোডিং করায় জনদূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। যানযট ও অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ না করায় প্রতিদিন স্কুল কলেজ গামি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন থেকে। এছাড়া রাস্তার মধ্যে ময়লা আবর্জনায় দূষিত শাখা বারাক নদী সহ পৌর এলাকা। হাসপাতাল রোড, আউশকান্দি রোড, উপজেলা রোডসহ বিভিন্ন রাস্তার অবস্থাও নাজুক। মাঝে মধ্যেই এসব রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটে। পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় সামন্য বৃষ্টিতেই অনেক রাস্তায় মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

দীর্ঘদিনের এসব সমস্যা সম্পর্কে পৌরমেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী বলেন- কয়টি রড লাইট ও এনার্জি লাইট জ্বালানোর কথা প্রকৃত পক্ষে কয়টি জ্বলে তা অফিস থেকে তথ্য না নিয়ে বলা কঠিন। তবে আমি হেঁটে হেঁটে এগুলো চেক করি। তাই নষ্ট লাইট জ্বলে এমন অভিযোগ খামখেয়ালি। তিনি আরো বলেন- স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভাসমান ব্যবসায়ীরা প্রায় সময় রাস্তা চলে আসে এটা সত্য, এ নিয়ে আমরা অভিযান চালিয়েছি আরো চালাবো।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কোম্পানির মালবাহী গাড়ি লোড-আনলোড করার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।