বাঁশখালীতে ৫ শ্রমিকের মৃত্যু, এ যেনো চাওয়ার থেকে পাওয়া বেশী।

প্রকাশিত: ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১

১০ দফায় শ্রমিকদের দাবির মধ্যে ছিল মাসের শুরুতে ৫-১০ তারিখের মধ্যে বেতন, রমজানে বিকেল ৫টার মধ্যে ছুটি এবং রমজানে ইফতারের জন্য বরাদ্দ, যখন তখন ছাঁটাই বন্ধ, ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের আইন অনুযায়ী পাওনা পরিশোধ করা।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে ১৩২০ মেগাওয়াটের এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যাতে পাঁচজন শ্রমিক নিহত হন।

২০১৬ সালেও গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গা অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন (স্কপ) এক বিবৃতিতে বলে, “বিদ্যুৎকেন্দ্রে বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে শ্রমিকরা দাবি জানিয়ে আসলেও মালিকপক্ষ বরাবর এড়িয়ে গেছে এবং তাদের উপর নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আজ তাদের ন্যায্য বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনের এক পর্যায়ে মালিকপক্ষ তাদেও উপর চড়াও হয়। পরে মালিকের নির্দেশে পুলিশ এসে শ্রমিকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়।”

তিনি বলেন, “শ্রমিকদের দাবি নিয়ে কথা বলার অধিকার ন্যায়সম্মত। ফলে তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে গড়ে উঠা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ গুলি করার অধিকার কোথায় পেল?

“পুলিশের উচিত ছিল, মালিকপক্ষকে চাপ দিয়ে শ্রমিকদের দাবি আদায় করা। অথচ সেখানে আমরা দেখলাম, মালিকের মদদে একটা রাষ্ট্রীয় বাহিনী জনগণের পক্ষে কাজ না করে সরকারি নির্দেশে নিরীহ নিরস্ত্র শ্রমিকের উপর নির্বিচারে গুলি চালালো।”

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) এক বিবৃতিতে বলে, বকেয়া বেতন-ভাতাসহ কতিপয় দাবিতে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি না মেনে কোনো যৌক্তিক সমাধান না করে এহেন হত্যাকাণ্ড চালিয়ে শ্রমিকদের দমন করার অপচেষ্টা রুখে দিয়ে হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

১০ দফায় শ্রমিকদের দাবির মধ্যে ছিল মাসের শুরুতে ৫-১০ তারিখের মধ্যে বেতন, রমজানে বিকেল ৫টার মধ্যে ছুটি এবং রমজানে ইফতারের জন্য বরাদ্দ, যখন তখন ছাঁটাই বন্ধ, ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের আইন অনুযায়ী পাওনা পরিশোধ করা। তবে এই দাবির প্রেক্ষিতে ৫ টি লাশ আর শতাধিক আহত দিয়েই শেষ হয় দিন। এ যেনো চাওয়ার থেকে পাওয়া বেশী।