বাংলাদেশ মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ১০ দফা’র দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২

এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে বাংলাদেশ মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ১০ দফা’র দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় পাবলিক লাইব্রেরী হল রুমে উত্তরণ এএসএআর প্রকল্পের আয়োজনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জি,এম আকবর কবীরের সভাপতিত্বে উত্তরণের প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মৎস্যজীবী জেলে সমিতির কেন্দ্রী কমিটির মহাসচিব মোল্লা রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্যজীবী জেলে সমিতির শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক মুনসুর আলম,ধুমঘাট মৎস্যজীবী জেলা সমিতি, আলমগীর হোসেন,বাংলাদেশ মৎস্যজীবী জেলে সমিতির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।আরো উপস্থিত ছিলেন,প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এসএম মোস্তফা কামাল,সাধারণ সম্পাদক জহিদ সুমন,এডভোকেট লিয়াকত আলী, মধুজিৎ রপ্তান হরিনগর জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি, মুজিবর রহমান, অমল কৃষ্ণ মন্ডল, আবুল হোসেন, পঞ্চানন বৈদ্য,আনিস হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র জেলা সমিতর উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের তালিকা দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে, পাশাপাশি বাদ পড়া জেলেদের জেলে কার্ড প্রদান এবং সাগর, সুন্দরবন ও সাগর সংশ্লিষ্ট নদ নদীতে মৎস্য আহরণকারী এবং ইলিশ আহরণকারী জেলেদের চিহ্নিত করে প্রচলিত খাদ্য সহায়তা বাড়াতে হবে,অ-মৎস্যজীবী এবং অবৈধ প্রভাবশালী দখলদারদের হাত থেকে জলমহল উদ্ধার করতে হবে, খাস কালেকশন করতে হলে প্রকৃত নিবন্ধিত/অ-নিবন্ধিত ও আবেদনকারী প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতির মাধ্যমে করতে হবে কোনভাবে অ-মৎস্যজীবী ব্যক্তি বা সমিতির মাধ্যমে করা যাবে না,কোন জলমহল চিংড়ি মহলের আওতায় থাকলে সেই জলমহল গুলো প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতির মাধ্যমে ইজারা দিতে হবে পাশাপাশি ইতোমধ্যে অ-মৎস্যজীবীদের মধ্যে যে সকল জলমহল চিংড়ি মহল হিসাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার মেয়াদ বাড়ানো যাবে না,উন্মুক্ত মহলে সরকারি দখল ও রাজস্ব আয় এবং জেলেদের শান্তিপূর্ণ মৎস্য আহরণের স্বার্থে প্রকৃত জেলেদের টোকেন রাজস্বের বিনিময়ে লাইসেন্স বা অনুমতি পত্র দিতে হবে,
নীতিমালায় প্রকৃত মৎস্যজীবীর যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তার প্রেক্ষিতে মহাজন বা আড়তদাররা কোন সুযোগ যাতে না নিতে পারে সে বিষয়ে নীতিমালায় সুস্পষ্ট করতে হবে,প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে মৎস্য খামার বা জলমহল ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিগ্রস্ত জলমহল বা সমিতির ক্ষতিপূরণের জন্য সরকার কর্তৃক সহায়তার ব্যবস্থা রাখা এবং মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য জলমহল উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে, মামলাভুক্ত জলমহল গুলির মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে পাশাপাশি যেসব জলমহলের সীমানা এবং তফশীল সঠিক নেই সেই সকল জলমহলের সীমানা দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে,ভরাটি জলমহল খনন করে মৎস্য চাষ উপযোগী করে জলবদ্ধতা নিরসন করতে হবে,সাতক্ষীরা রেঞ্জে ট্রলারের মাছ ধরার পারমিশন নেই। অন্যদিকে এই জেলায় কোন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র না থাকায় সাতক্ষীরার মৎস্যজীবিরা খুলনার ট্রলারের সহযোগিতার মাধ্যমে সাগরে মাছ আহরণ করতে যাচ্ছে। তাই মৎস্যজীবীদের স্বার্থে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ট্রলারে মাছ ধরার পারমিশন দিতে হবে পাশাপাশি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।
বক্তারা বলেন,এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলার মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে জেলা মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জীবনমানের আত্মসামাজিক উন্নয়ন সহ সাতক্ষীরার প্রধানতম সংকট জলবদ্ধতা অবসানের শুভ সূচনা হবে।সম্মেলনে স্থানীয় সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন ,মৎস্য সম্পদ ও মৎস্যজীবী জেলেদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মৎস্য বিভাগ প্রচেষ্টা চায়িয়ে যাচ্ছে তবে কিছু কুচক্রী মহলের চক্রান্তের কারণে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
বিশেষ করে বুড়িগোয়ালিনী,গাবুরা,পদ্মপুকুর ,কৈখালী ,নুরনগর ইউপি চেয়ারম্যানরা প্রকৃত জেলেদের সহযোগিতা না করে ভোটের রাজনীতি শুরু করেছেন। তাদের নিজ দলীয় কাছের লোকদের সরকারি সহযোগিতা প্রদান করছে। এতে বাদ পড়ছে প্রকৃত জেলে ও মৎস্যজীবি পরিবার গুলো।