বাগআঁচড়ার চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে আনিত নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন

প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২২

মোঃ শাহিদুল ইসলাম শাহিন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ৮নং বাগআঁচড়া ইউনিয়নাধীন ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বামুনিয়া-সনাতনকাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে “অফিস সহায়ক”(দপ্তরী) এবং পরিচ্ছন্ন কর্মী(ঝাড়ুদার) পদে প্রার্থী নিয়োগে ঐ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটি’র সভাপতি ও ৮ নং বাগআঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আনিত নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট বলে খবর পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে সেখানে দেখা যায় অভিযোগ কারী(পরিচ্ছন্ন পদে আবেদনকারী) মোছাঃ ইয়াছমিন খাতুন বুধবার(২৭ জুলাই) অনানুষ্ঠানিক ভাবে ঐ স্কুল প্রাঙ্গণে বলেছেন, তার নিয়োগপত্র প্রাপ্তিতে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি’র সভাপতি ও ৮ নং বাগআঁচড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খালেকের নিকট নগদ ৪ লাখ টাকা দিয়েছেন। এর সত্যতা জানতে বৃহস্পতিবার(২৮ জুলাই) ইয়াছমিন খাতুনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তার স্বামী জানান, “নগদ ৪ লাখ টাকা আমরা(ইয়াছমিন,তার স্বামী এবং স্বামীর ভাই) স্কুলের অফিস সহকারী মুছা আহম্মদের হাতে দিয়েছি”। নিয়োগ প্রাপ্তিতে ৪ লাখ টাকা দিতে হবে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের এমন কোন নির্দেশনা আপনাদের কাছে আছে কিনা? জানতে চাইলে ইয়াছমিনের স্বামী অপর প্রান্ত থেকে ফোন স্যুইচ অফ করে দেন।

এদিকে, বিষয়টি সম্পর্কে আরও সত্যতা জানতে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের অফিস কার্যালয়ে তার স্বাক্ষাৎ নিতে গেলে চেয়ারম্যান বলেন, “নিয়োগ প্রাপ্তিতে আমার এবং আমার কমিটি’র পক্ষ থেকে কোন প্রকার নিয়োগ বানিজ্য হয়নি বা আমি কোন প্রার্থীর নিকট থেকে নিয়োগ প্রাপ্তি বাবদ কোন টাকা পয়সা লেনদেন করি নাই”। তবে, তিনি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে একশ্রেণীর দুষ্ট প্রকৃতির লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে আমার এবং স্কুলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চক্রান্ত চালাচ্ছে”। ঐ সকল চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে আরো বলেন, “আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আজ যারা আমার পিছু নিয়েছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো”। নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার এবং আমার কমিটি’র পক্ষ থেকে যদি কেউ টাকা-পয়সা লেনদেন করে থাকে, উপযুক্ত প্রমানাদি পেলে তার বিরুদ্দে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তবে, টাকা লেনদেনের বিষয়ে প্রার্থী(পরিচ্ছন্ন কর্মী) রেক্সোনা খাতুন বলেন, নিয়োগ প্রাপ্তির ব্যাপারে চেয়্যারম্যান আব্দুল খালেক কোন টাকা-পয়সা চাননি বা আমার কাছে এ ব্যাপারে কেহ টাকা-পয়সা দাবীও করেনি, তবে রেক্সোনা দাবী করেন যোগ্যতার ভিত্তিতে লোক নিয়োগ দিলে তার কোন অভিযোগ থাকবে না”। এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে, আমার মনে হয় তারা লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা ভাল করতে পারেনি”, কেননা পরীক্ষার হলে সে ডিসট্রিক্ট বানান কি সেটা আমার কাছে জিঙ্গেস করেছিলো’ আমি বলিনি।

প্রার্থী শাহানাজ খাতুন(পরিচ্ছন্ন কর্মী) বলছেন,” আমি গত ২ জুলাই যশোর জেলা স্কুলে গিয়ে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে এসেছি, আমি পরীক্ষায় খুব ভাল করেছি, আশা করি যোগ্যতার মাপকাঠিতে আমি নিয়োগ পাবো। তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা লেনদেনের বিষয়টি একটি মিথ্যা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক খুব ভাল মনের মানুষ, অত্র ইউনিয়নের প্রত্যেকটি মানুষ তাকে ভাল জানেন, তিনি একজন সৎ প্রকৃতির মানুষ, নিয়োগ প্রাপ্তিতে স্কুল কমিটি’র পক্ষ থেকে কোন প্রকার টাকা-পয়সা দাবী করা হয়নি”।

এ বিষয়ে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, নির্ধারিত পদের অনুকুলে নিয়োগ প্রাপ্তিতে স্কুল কমিটি’র পক্ষ থেকে কোন প্রকার টাকা-পয়সা দাবী করা হয়নি বা চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক কারও নিকট থেকে কোন প্রকার টাকা-পয়সা গ্রহণ করেননি। গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান খালেকের প্রতিপক্ষ নির্বাচনে হেরে গিয়ে তার বিরুদ্ধে সকল সময় মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য। কিন্তু সাধারণ জনগণ তার পাশে আছে, কেউ তার ক্ষতি করতে পারবে না। পরিচ্ছন্ন কর্মী প্রার্থী ইয়াছমিনের মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাখান করে এলাকাবাসী বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব একজন সৎ প্রকৃতির মানুষ, তিনি এই স্কুলের জন্য নিজের পকেট থেকে বহু টাকা খরচ করছেন আর তিনি কিনা নিয়োগ বাণিজ্য করবেন, এটা হাস্যকর।

নিয়োগ প্রাপ্তির বিষযে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, দুটি পদের অনুকূলে মোট ১৪ জন প্রার্থী আবেদন পত্র জমা দেন এদের মধ্যে মোট ১২ জন আবেদন কারী লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। যশোর জেলা স্কুলে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানকার প্রধান শিক্ষক সোয়াইব হোসেন নির্বাচিতদের তালিকা এখন পর্যন্ত আমাদের স্কুলে পাঠাননি। উক্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করতঃ স্কুল কমিটি দুই পদের জন্য ২ জনকে নিয়োগ পত্র প্রদান করবেন। এই পদের অনুকুলে আমার স্কুল কমিটি’র পক্ষ থেকে কারও নিকট থেকে কোন প্রকার টাকা গ্রহণ করা হয়নি বা কোন প্রার্থীর নিকট টাকা দাবীও করা হয়নি। বরং একটি পক্ষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ানোর জন্য আমাকে ফোন করে আমাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।