বাজার মাতাচ্ছে ক্ষিরসাপাত

প্রকাশিত: ১১:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২০

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলছে এখন আমের ভরা মৌসুম। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে এবার বাজারগুলোতে নেই আগের মতো গমগমে ভাব। কিন্তু পাকা আমের মাতাল করা গন্ধ আছে চারদিকে।
এখন জেলার বাজারাগুলো মাতাচ্ছে ক্ষিরসাপাত জাতের আম। যেটি ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলে হিমসাগর নামে পরিচিত। দামও বেশ ভালো পাচ্ছেন চাষিরা।
দেশের বৃহৎ আম বাজার কানসাটের ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম জানালেন, এখন বাজারে শুধু ক্ষিরসা আর ক্ষিরসা। আরো এক সপ্তাহ থাকবে ক্ষিরসাপাত আম। এরপর বাজার দখল করতে আসছে ল্যাংড়া জাত।
এবার জেলায় আমের দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি। রোববার জেলায় ক্ষিরসাপাত আম বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৩২০০ টাকা থেকে ৩৪০০ টাকায়। আর ল্যাংড়ার দাম ছিলো ২৪০০ থেকে ২৬০০ টাকা মণ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম একটু বেশি। সদর উপজেলার সাধুরঘাট আম বাজারের ব্যবসায়ী সুকুমার রায় জানান, গত বছর এই সময়ে ক্ষিরসাপাত আম বিক্রি হয়েছে ২২০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা মণ দরে। কিন্তু এবার প্রায় দেড়গুণ বেশি। বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ টাকা থেকে ৩৪০০ টাকায়। বাজারের আমের সরবরাহও গত বছরের চেয়ে কম।

বাজারে ল্যাংড়া আম আসতে শুরু করেছে দুই/তিনদিন হলো। ল্যাংড়া আমেরও দাম বেশ চড়া। গত বছর এই সময়ে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে আম। এবার ল্যাংড়া শুরুই হয়েছে ২০০০ টাকা দিয়ে। সব মিলিয়ে চাষিরা দাম নিয়ে সন্তুষ্ট।

ল্যাংড়ার পর আসবে ফজলি, আম্রপালি, আশ্বিনা। সবগুলো জাতেই যদি এই রকম থাকে তবে চাষিরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ ম্যাংগো প্রডিউসার মার্চেন্ট অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবার আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমের উৎপাদন অনেক কমে গেছে। তাই দাম বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, এবার জেলায় ৩৩ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল দুই লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। তবে এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম আম উৎপাদন হবে।